নীলফামারীতে নানান আয়োজনে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস পালিত


ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৭মে॥
আপনার রক্ত চাপ জানুন” এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্যে দিয়ে নীলফামারীতে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস পালন করা হয়েছে। হাইপারটেনশন  এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুরের উদ্যোগে এবং নীলফামারী বিএমএ-র আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নীলফামারী ডায়াবেটিকস হাসপাতাল চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী  শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পুনরায় ডায়াবেটিকস হাসপাতালে গিয়ে  শেষ হয়। র‌্যালী শেষে ডায়াবেটিকস হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও হাইপারটেনশন  এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডাঃ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নীলফামারী জেলা বিএমএ-এর সভাপতি ডাঃ মমতাজুল ইসলাম মিন্টু। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন নীলফামারী সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুর রশিদ, রংপুর মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও হাইপারটেনশন  এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুরের সাধারন সম্পাদক ডাঃ শাহ মোঃ সারোয়ার জাহান, রংপুর মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও হাইপারটেনশন  এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুরের উপদেস্টা ডাঃ মাহফুজার রহমান ,নীলফামারী ডায়াবেটিকস হাসপাতালের সাধারন সম্পাদক ডাঃ মজিবুল হাসান চৌধুরী শাহীন,হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুরের প্রধান সম্বয়নকারী আনোয়ার হোসেন ও হাইপারটেনশন  রোগে আক্রান্ত রোগী জোবান আলী প্রমুখ।

আলোচনা অনুষ্ঠানে জানানো হয় ২০০৫ সাল থেকে প্রতিবছর ১৭ মে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস পালিত হয়ে আসছে। এর লক্ষ্য হলো উচ্চ রক্তচাপ স¤পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ’আপনার রক্ত চাপ জানুন” ।
 পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারা বিশ্বে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন লোক উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। অর্থাৎ প্রতি চারজনে একজন প্রাপ্তবয়স্কের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। এটি হৃদরোগ, মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) ও কিডনি সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ। ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ, ৫০ শতাংশ হৃদরোগের কারণ হলো উচ্চ রক্তচাপ। সারা বিশ্বে ৭ দশমিক ১ মিলিয়ন লোক মারা যায় উচ্চ রক্তচাপের জন্য।উচ্চ রক্তচাপ একটি লক্ষণবিহীন রোগ। ফলে অনেকে নিজের অজান্তেই এ রোগ নিয়ে বেঁচে আছেন। শুধু দিবস পালনই নয়, সব সময়ের সচেতনতা এই নীরব ঘাতক থেকে আমাদের রক্ষা করবে। কীভাবে উচ্চ রক্তচাপ নির্ণয় করা যায়; কীভাবে এর চিকিৎসা, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করা যায়-সে বিষয়ে জানাটা জরুরি।বাড়িতে বসে আপনার রক্তচাপ জানার মাধ্যমে জীবনধারার পরিবর্তন, উপযুক্ত চিকিৎসা ও ওষুধ সেবনের মাধ্যমে কীভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, তার একটা ধারণা পাওয়া যায়। সচেতন হোন, নিয়মিত রক্তচাপ মাপুন। উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করতে পারলে হৃদরোগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, কিডনির সমস্যাও অনেকটাই প্রতিরোধ করা যাবে।

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 4790988983088585572

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item