আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী।

ডেস্কঃ
আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ, ২৫ মে। বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আজ বুধবার ১১৭তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে কবির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাচ্ছে সর্বস্তরের মানুষ।
সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শ্রদ্ধা জানিয়েছে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

এবার কবির জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হচ্ছে চট্টগ্রামে। বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের এম এ আজিজ আউটার স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও জাতীয় কবির পৌত্রী খিলখিল কাজী। ‘সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতা রোধে নজরুলের প্রাসঙ্গিকতা’ বিষয়ে স্মারক বক্তব্য দেবেন আবুল মোমেন।

নানা আয়োজন ও উদ্যোগের মধ্য দিয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, শিল্পকলা একাডেমি কবির জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করছে। এর মধ্যে আছে আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মরণিকা ও পোস্টার মুদ্রণ, কবির ছবি, পোস্টার ও বই প্রদর্শনী, পাঠ প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা ইত্যাদি।

বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি চ্যানেলগুলো কবিকে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান ও অন্যান্য অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।

কবির স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও কুমিল্লার দৌলতপুরে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় কবির জন্মবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে।

১৮৯৯ সালের এই দিনে (১১ জ্যৈষ্ঠ, ২৫ মে) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নজরুল। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ ও দার্শনিক।

১৯২১ সালে ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটির মধ্য দিয়ে সারা ভারতের সাহিত্যসমাজে সাড়া ফেলে দেন নজরুল। ১৯৪২ সালের জুলাই থেকে ১৯৭৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৪টি বছর নজরুল নির্বাক জীবনকাল পার করেন।

১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে সপরিবারে স্বাধীন বাংলাদেশে আনা হয়। ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সমাবর্তনে কবিকে সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত করে।

১৯৭৬ সালে কবিকে দেওয়া হয় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব। তাঁকে ‘একুশে পদক’ দেওয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট (১২ ভাদ্র ১৩৮৩) ঢাকার পিজি হাসপাতালে কবি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন

পুরোনো সংবাদ

শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি 3605498092399977116

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item