বোনকে কুপিয়ে জখম ॥ অবশেষে ভাই গ্রেফতার

হাজী মারুফ:

কলেজ পড়–য়া বোন শামীমা আক্তার মিতুকে ধারালো ছোড়া দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্তসহ শ্লীলতাহানি করেছে বিমাতা ভাই মুশফিকুর রহমান স্বপ্নীল। জমি জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে মূলাটোল এলাকায়। এ ব্যাপারে রংপুর কোতয়ালী থানায় মামলা হলে রবিবার সন্ধ্যায় মামলার আসামী স্বপ্নীলকে গ্রেফতার করেছে তদন্ত কর্মকর্তা মজনু। থানা সূত্রে জানা যায়, নগরের মূলাটোল এলাকায় মৃত মোস্তাফিজুর রহমানের প্রথম স্ত্রী মৃত আলিয়া খাতুনের চার কন্যা ও দ্বিতীয় স্ত্রী সালেহা বেগম সুইটির এক পুত্র রয়েছে। দু’পক্ষের সন্তান মূলাটোল বাসায় এক সাথে থাকলেও আলাদাভাবে তারা সংসার করছে। এর মধ্যে বিবাহিত দু’কন্যা টাঙ্গাইলে শ্বশুরবাড়িতে থাকলেও অপর দু’কন্যা শামীমা আক্তার মিতু ও সিনথিয়া রহমান সেতু পৈত্রিক বাসায় থেকে কলেজে লেখাপড়া করছেন। এতিম মিতু ও সেতুর লেখাপড়ার খরচ যোগাতে বাড়ির সামনে দুই কক্ষ ভাড়া দেয়। এতে বাধ সাধে বিমাতা বখাটে ভাই স্বপ্নীল। সে তার বখাটে সঙ্গীদের নিয়ে ভাড়াটিয়াকে ঘর ছাড়ার জন্য ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। এনিয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর উপস্থিতিতে সালিশও হয়। ফলে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে স্বপ্নীল। সে এবং তার সঙ্গীদের নিয়ে এসে প্রায়ই  যুবতী বোনদের অশ্লীল ইঙ্গিত করে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে মিতু ও সেতু। উপায় না দেখে তারা গত বছরের ২২ জুন কোতয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরী করে। এরই মধ্যে গত ১৩ এপ্রিল বুধবার ভাড়াটিয়াদের স্বপ্নীল ও তার সঙ্গীরা ভয়-ভীতি দেখিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এর প্রতিবাদ করে বোন সেতু। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বপ্নীল ও তার মা সালেহা বেগম অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজসহ ঘর থেকে ধারালো ছোড়া নিয়ে এসে হত্যার উদ্দেশ্যে মারতে যায় এবং কুপিয়ে মিতুর মাথা ও বাম পায়ে রক্তাক্ত করে পরনের কাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানী ঘটায়। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় দু’বোনকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম জাহিদুল ইসলাম মিতু ও সেতুকে দেখে তাৎক্ষনিক ভাবে বখাটে স্বপ্নীলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। এ ঘটনায় শামীমা আক্তার মিতু বাদি হয়ে মুশফিকুর রহমান স্বপ্নীল ও তার মা সালেহা বেগমকে আসামী করে থানায় মামলা করেছে।