সানফাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ সভাপতির অপসারণের দাবিতে সৈয়দপুরে মানববন্ধন

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি-

সৈয়দপুর সানফাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ শহরবাসী। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের প্রেসক্লাব সংলগ্ন রাস্তায় সকাল ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে শহরের সিটি স্কুল এন্ড কলেজের স্বত্ত্বাধিকারী কাজী ময়নুল হককে সভাপতি করে দুর্নীতিবাজ সভাপতির অপসারণের দাবি নিয়ে বক্তব্য রাখেন, ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর অভিভাবক আবুল হোসেন, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজু আহমেদ, মুকুল হোসেন ও কাজী ময়নুল হক প্রমুখ।
কাজী ময়নুল তার বক্তব্যে বলেন, সানফাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজটি সঠিকভাবে চলাচলের জন্য অভিভাবকদের ভোটের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেখানে সভাপতি করা হয় আমিনুল হক নামের এক ব্যক্তিকে। প্রায় ১৭ বছর আগে ওই প্রতিষ্ঠানের কমিটি গঠন করা হলেও পরবর্তীতে ওই সভাপতি লায়ন্স কাব অব সানফাওয়ার নামের সংস্থা পরিচালিত বিশেষ গভর্নিং বডি গঠনের মাধ্যমে শিক্ষার নামে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন। প্রতিষ্ঠানের ভালোমন্দ, আয় ব্যয় নিয়ে বডির সদস্যদের মতামত নেয়ার প্রয়োজনই মনে করেন না তিনি।
একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক একজন হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে দুইজনকে করা হয়েছে শিক্ষা প্রধান। তিনি বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের নাম আব্দুল লতিফ। কিন্তু অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাত করার জন্যই তৈরিকৃত অনুগত ভাগ্নে মোকলেছুর রহমান জুয়েল নামে এক যুবককে অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই বহুতল ভবন নির্মাণের ভাউচার দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন তিনি। এছাড়া ক্রয় বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ও হোস্টেল তৈরির ভাউচার দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে বলে তিনি তার বক্তব্যে বলেন। কাজী ময়নুল বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা মেধা মূল্যায়ন না করেই মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে আমিনুল নামের ওই ব্যক্তিটি কোটি কোটি টাকার মালিক বনেছেন। সুনামধন্য লায়ন্স ক্লাবের মানবসেবার কথা ব্যবহার করে ওই প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাত করে সভাপতি আমিনুল হকের রয়েছে কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স, গাড়ি ও ঢাকায় বিশাল মাপের একাধিক অট্টালিকা। যা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির পক্ষে হওয়ার কথা নয়। সবশেষে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে আত্মসাতকৃত সকল অর্থ ফেরত দিয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সানফাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ থেকে সভাপতির পদ থেকে অব্যহতি দেয়ার দাবি জানান তিনি। অন্যথায় বৃহৎ আন্দোলনের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ ওই সভাপতিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে টেনে হেচড়ে বের করা হবে বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 5857579006978231962

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item