তৃণমূলে ভোটের হাওয়ায় সরগরম রংপুর বিভাগ

হাজী মারুফঃ

দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ইউপি নির্বাচন জমে উঠেছে। ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ। রাজনৈতিক পরিচয়ে দলীয় প্রতিকে প্রথমবারের মত অনুষ্টিত এ নির্বাচন ঘিরে গ্রামীন জনপদ এখন উৎসব মূখর। তবে কোন কোন এলাকায় বিদ্রোহী ও প্রভাবশালী প্রার্থীদের মধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ পেশীশক্তি ও কালো টাকার ব্যাবহাহাড়ের অভিযোগ উঠছে।প্রথম পর্যায়ে রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও রংপুর এই তিন জেলার চার উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২২ মার্চ। রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার একমাত্র কল্যাণী ইউনিয়নে ভোট হ”েছ ১৪ বছর পর। এছাড়া একই দিন ভোটগ্রহন হবে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার চারটি ও হাকিপুর উপজেলার তিনটি এবং পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় সাতটি ইউনিয়নে। এই ১৫টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাসদ ও সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা ছাড়াও আওয়ামীলীগ, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। এসব নির্বাচনী এলাকায় দলীয় প্রার্থী ছাড়াও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাথে হাড্ডা-হাড্ডি ভোট যুদ্ধ হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার একটিমাত্র ইউনিয়ন কল্যাণীতে দীর্ঘ ১৪ বছর পর প্রথম পর্যায়ে নির্বাচন হ”েছ। সরেজমিনে এই ইউপির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে নির্বাচনের উত্তাপ। হাট-বাজার, দোকানপাট, মাঠে-ময়দানে প্রার্থীরা জনসংযোগে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। দম ফেলার সময়ও যেন নেই তাদের। গাছের ডাল, দেয়াল ও রশিতে ঝুলছে বিভিন্ন প্রার্থীর পোষ্টার ও ব্যানার। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে চার জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে আট জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এখানে নৌকা প্রতিকে আওয়ামীলীগের নুর আলম, ধানের শীষ প্রতিকে বিএনপির জিকর“ল আমিন, লাঙ্গল প্রতিকে জাতীয় পার্টির আব্দুল জলিল সরকার ও হাত পাখা প্রতিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নজর“ল ইসলাম নির্বাচনী মাঠে লড়ছেন । এই ইউনিয়নে ১০টি কেন্দ্রে ১৬ হাজার ৮শ ৩৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এখানে জামায়াতে ইসলামীর কোন প্রার্থী না থাকায় তারা বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন বলে জানা গেছে।

পীরগাছা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার স.ম সেলিম জানিয়েছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করতে প্রয়োজনীয় ব্যাব¯’া নেয়া হয়েছে। তবে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সরকারী প্রশাসনের কেউ কেউ আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালা”েছন। এতে নিরপেক্ষ ভোট গ্রহন নিয়ে শংকিত প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী ও ভোটাররা। ভোটারদের কেউ কেউ ভোটের ফলাফল ছিনতাই হওয়ার আশংকা করছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম সাহাব উদ্দিন এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মনির“ল ইসলাম জানান, আচরণবিধি লঙ্ঘন রোধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন বদ্ধ পরিকর।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 1147668623901573330

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item