আ’লীগ-বিএনপি এক থাকলে কেউ ক্ষমতা নিতে পারবে না

ডেস্কঃ

ওয়ান ইলেভেনের কুশিলবদের ইঙ্গিত করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, কিসের ভয়? আওয়ামী লীগ-বিএনপি এক থাকলে অন্য কেউ ক্ষমতা নিতে পারবে না। আমাদেরকেও জেলে নিতে পারবে না।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিগত আন্দোলনে নিহত ও আহত বিএনপি কর্মীদের পরিবারের মধ্যে আর্থিক অনুদান তুলে দেওয়ার জন্য জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম শাখা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

খালেদা জিয়া বলেন, আমরা যদি এক সঙ্গে থাকতাম, তাহলে কিচ্ছু করার সাহস তাদের (ওয়ান ইলেভেনের কুশিলব) ছিল না।

যদি দেশে গণতন্ত্র থাকে, আওয়ামী লীগ বিএনপিসহ মেজর পার্টিগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে কেউ এসে ক্ষমতা নিয়ে যাবে, আমাদের জেলে পুরে দেবে, তা পারবে না-বলেন তিনি।

কিসের জন্য ভয়, ক্ষমতায় যেতে হবে, তাই তাদের সঙ্গে আতাত করতে হবে?-প্রশ্ন খালেদার।

খালেদা জিয়া বলেন, ওয়ান ইলেভেন নিয়ে উনি (প্রধানমন্ত্রী) নিজেই কথা উঠিয়েছেন। কিন্তু তিনিই তো তাদের কাছে শপথ নিলেন, মিডিয়ার সামনে বললেন, ওয়ান ইলেভেন আমাদের আন্দোলনের ফসল। তিনি তো এর দায় অস্বীকার করতে পারেন না।

আওয়ামী লীগ সংবিধান মানে না অভিযোগ করে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, প্রধান বিচারপতি বলেছেন, অবসরে যাওয়ার পরে আর রায় লেখার কোনো সুযোগ থাকে না। সুতরাং বিচারপতি খায়রুল হক অবসরে যাওয়ার আগে যে রায়টা দিয়েছেন, সেটি ঠিক রায়। ওই রায়ে বলেছিলেন, আরো দু’টি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হতে পারে। আমাদের দাবি সেখানেই, আরো দুটি টার্ম তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন। কাজেই আরেকটি ইলেকশন হতে হবে নিরপে সরকারের অধীনে।

সেখানে সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে। সব দল অংশ গ্রহণ করবে। জনগণ বিচার করবে, কে ভালো, কে মন্দ-বলেন খালেদা জিয়া।

ঢাকার ব্যর্থ আন্দোলনের দায় স্বীকার করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে ব্যাপক আন্দোলন হয়েছে। সারাদেশে ব্যাপক আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু ঢাকায় সে তুলনায় কোনো আন্দোলন হয়নি- এটা আমরা স্বীকার করছি। কারণ, ঢাকায় পুলিশ বাহিনী, র‌্যাব বাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল সরকার। আমাদের অফিস তারা পুলিশ দিয়ে ঘিরে রেখেছিল।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদত হোসেন।

সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে নিহত হুমায়ুন আজাদের স্ত্রী জেসমিন আক্তার, আহত আরাফত হোসেনসহ ৮ জনের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন খালেদা জিয়া।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 7506269228930851668

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item