নীলফামারীর জলঢাকায় জমি দখলের পায়তারার অভিযোগ,সাংবাদিকের মহৎ উদ্যেশ্যে ভেস্তে যেতে বসেছে

আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টার ঃ
নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন সংলগ্ন জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের পাইটকাপাড়া গ্রামে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ৩২ শতাংশ জমি এক ব্যাক্তি সুকৌশলে দখলের পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ মতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ওই জমি দখলে নেয়ার পায়তারা করছেন ওই গ্রামের মৃত  মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে প্রভাবশালী মমিনুর রহমান (৬৫)। সম্পত্তিটি রক্ষার জন্য জলঢাকা উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে এলাকাবাসীর পক্ষে দাতার পরিবার ।
এলাকাবাসী জানান ,(ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন সংলগ্ন )জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের পাইটকাপাড়া গ্রামের  হাজীপাড়ার  প্রয়াত সাংবাদিক ওবায়দুল মোকাদ্দেস চৌধুরী সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের অধিনে সমাজসেবা অধিদপ্তর ও আন্তর্জাতিক শিশু কল্যান সংস্থার নামে ১৯৮০ সালের ৬ অক্টোবর ৩২ শতাংশ  জমি দান করেন। যার দলিল নম্বর ১১২০৬/৮০ । এবং সেখানে একটি আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে দেন।
এর পর সরকারী উদ্যোগে স্থানীয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের তত্বাবধানে সেখানে নানামুখি কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রায় ১০ বছর চলার পর কার্যক্রমটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে দাতার উদ্যেশ্য ভেস্তে যেতে বসে। দাতা ওবায়দুল মোকাদ্দেস চৌধুরীর জীবদশায় তিনি সেসময় যায়গাটি দেখাশোনা করতেন। তিনি অসুস্থ্য হলে  গ্রামের মমিনুর রহমান ধেখাশোনা করতেন।
সেই সুবাদে মমিনুর রহমান প্রথমে সেখানে একটি দোকান ঘর স্থাপন করেন।  অতিসম্প্রতি তিনি ওই যায়গাটিকে ডেউ টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেললে এলাকাবাসীর নজরে পরে তার জমি দখলের পায়তারা বিষয়টি।
ওই দানপত্রের সাক্ষী মোস্তাফিজার রহমান বলেন, প্রয়াত সাংবাদিক ওবায়দুল মোকাদ্দেস চৌধুরীর এলাকার মানুষের উন্নয়নের চিন্তা করে জমিটি দান করেছিলেন। সমাজসেবা বিভাগের উদাসিনতার কারনে জমিটি বেদখল হয়ে গেলে তার উদ্যেশ্য ভেস্তে যাবে । এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ করলে মমিনুর সমাজসেবা বিভাগের নির্দেশে  ঘিরেছেন বলে দাবি করেন। 
গ্রামের এরশাদ বিন এমদাদ বলেন, একজন ব্যক্তি মহৎ উদ্যেশ্যে জমি দান করেছেন, এটা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। সরকারী জমি উদ্ধার করে জনকল্যানে ব্যবহার হোক এটাই আমরা চাই ।
ডোমার পৌরসভায় ৩ নং ওয়ার্ডে বসবাসরত জমি দাতার স্ত্রী গোলে জান্নাত হিলালা বেগম অভিযোগ করে বলেন,আমার স্বামী এলাকার মানুষের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে জমিটি দান করেছিলেন। কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পর তিনি সেখানে গাছ লাগিয়েছেন, এবং সেটি দেখাশোনা করতেন। তিনি অসুস্থ্য হওয়ার পর আর সেখানে যেতে পারতেন না। প্রায় বছর খানেক আগে তিনি মারা যাওয়ার পর জমিটি দখলে নেয়ার পায়তারা শুরু করেন এলাকার মমিনুর রহমান।
এ অবস্থায় আমি চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করি। আমার আবেদনে বলেছি সমাজসেবা বিভাগ জমিটি রক্ষা করে সেখানে জনকল্যান মুলক কর্মকা- পরিচালনা করুক। তাদের কোনো কার্যক্রম না থাকলে আইনী প্রক্রিয়ায় দানপত্র বাতিল করে আমাদের জমি আমাদের ফেরত দেওয়া হউক। তিনি বলেন, জমিটি দখলমুক্ত হয়ে এলাকার মানুষের উন্নয়নে ব্যবহার হলেই আমি খুশি ।
এ ব্যাপারে কথা বললে দখল চেষ্টাকারী মমিনুর রহমান বলেন, জলঢাকা সমাজসেবা কার্যালয় আমাকে জমিটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিয়েছে। এলাকার ছেলেরা এখানে এসে জায়গা চায়, ব্যডমিণ্টন খেলবে বলে । আমি না দেওয়ায় কিছু মানুষ আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করছেন। এ কারণে জমিটি  ঘিরে রেখেছি। এ সময় দেখা যায় তার পরিবারের সদস্যরাও সেখানে রয়েছেন। তাকে দায়িত্ব দেওয়া সমাজসেবা বিভাগের লিখিত কাগজ আছে দাবি করলেও তা দেখাতে ব্যর্থ হন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জলঢাকা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মনিমুন আখতার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, যেহেতু আমাদের কার্যক্রম নেই, বিষয়টি জেলা কার্যালয়ের পরবর্তি সভায় উপস্থাপন করবো, সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, আমরা জমিটি দখলমুক্ত করে  রাখবো, নাকি দাতার জমি দাতাকে ফেরত দিব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাসান হাবীব অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন,যায়গাটি দখলমুক্ত করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3043745010505675184

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item