নানা সমস্যায় জর্জরিত ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ।

জাহাঙ্গীর আলম রেজা,ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

নীলফামারী ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। বাহিরে চাকচিক থাকলেও ভিতরের অবস্থা বেহাল। যার ফলে এক দিকে যেমন রোগীদের দূর্ভোগ অন্যদিকে স্বাস্থ্য ঝুকিতে দেখা দিয়েছে নানাবিদ বিপর্যয়। চলতি শীতে ঠান্ডা জনিত কারণে কোলের শিশু সহ অনেকেই জ্বর, সর্দ্দি, কফ, কাশি, নিমুনিয়া, হাপানি সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শষ্যা বিশিষ্ট থাকলেও ভর্তিকৃত রোগীরা সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। রোগীদের থাকার বেডগুলো নোংরা, মেঝেতে ময়লা আবর্জনার গন্ধে শ্বাস-প্রশাস নিতে কষ্ট হচ্ছে রোগীদের।  উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানান এই উপজেলায় প্রায় ২ ল ৮৩ হাজার ৪ শত ৩৮ জন লোকের বাস। এর মধ্যে অধিকাংশ মানুষ সাবলম্বী থাকলেও গাঁয়ের মানুষের সংখ্যা এখানে বেশি।

এ সব লোকেরা দৈনন্দিন পরিশ্রম করে যা পারিশ্রমিক পান তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খান। এদের বেশিরভাগ মানুষ কোন না কোন রোগে আক্রান্ত। প্রায়শই দেখা যায় গ্রামের মানুষ রোগ নিরাময়ের জন্য প্রথমত গ্রাম্য হাতুরে ডাক্তারের স্বরনাপন্য হয়। তাদের ভূলভাল চিকিৎসায় প্রতিকার না হলে তখন তারা ছুটে সরকারী হাসপাতালে। সেখানে এসে তাদের নেই কোন স্বস্থি । চিকিৎসা ব্যবস্থা ও সেবার মান নিয়ে তাদের রয়েছে অনেক প্রশ্ন। হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে মাহাবুর রহমান, মফিজার ইসলাম, আজিজার রহমান, ইসমতারা, সুফিয়া, অনুফা, শেখ আহম্মেদ, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ জানায় এই হাসপাতালে ঔষধ বাহির থেকে কিনে আনতে হয়। আনার পরেও সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছি না। এক্সরে মেশিন সেটিও অকেজো। বিদ্যুৎ নে আসে নে যায়। টয়লেটের দরজায় দাড়ালে দূগন্ধে নারি ভুরি বের হয়ে যায়। গায়ে দেওয়ার মত কম্বল তো দুরের কথা, কম্বলের চেহারাও চোখে পরেনা। বাড়ী থেকে যে বস্ত্র নিয়ে এসেছি এগুলো দিয়ে রাত কাটছি। আর যেসব রোগী শীত বস্ত্র ছাড়া হাসপাতালে এসেছে তাদের আত্মনাতে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। সেবিকাদের কাছে শীত বস্ত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন হাসপাতালে একটিও শীত বস্ত্র (কম্বল) নেই।  রোগীদের এই করুন পরিনতি সম্পর্কে জানতে চাইলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেবেকা সুলতানা বলেন এবিষয়গুলো আপনারা উদ্ধর্তন কর্তৃপকে বলেন।  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা জেড.এ. সিদ্দিকীর কাছে মুটোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন হাসপাতালের নার্স রয়েছে ৪ জন প্রয়োজন ১৫ জন, ডাক্তার লাগে ২১ জন আছে ৯ জন, আয়া লাগে ৪ জন আছে ২ জন। তিনি আরও বলেন শীত নিবারণের জন্য পর্যাপ্ত কম্বল রয়েছে এবং রোগীদের সেবার মান উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও সরকারী সুযোগ সুবিধা পেলে এ উপজেলার মানুষ আর স্বাস্থ্য ঝুকিতে থাকবে না। উল্লেখ্য ডিমলা হাসপাতালে সকল সমস্যা দ্রুত নিরশন এবং রোগীদের সু-চিকিৎসা ও সেবার মান বারানোর পাশাপাশি ও আধুনিক ডিজিটাল হাসপাতালে রুপান্তরিত হউক এই প্রত্যশা ও স্বপ্ন ২ ল ৮৩ হাজার ৪ শত ৩৮ জন মানুষের।

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 8769267287120296496

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item