প্রধানমন্ত্রীর কথায় আশ্বস্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষনা আসতে পারে আজ

অবলোকন ডেস্কঃ

অষ্টম বেতন কাঠামোর বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আন্দোলনরত ফেডারেশনের নেতারা বলে আসছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হলে জটিলতার অবসান ঘটবে।
সপ্তাহব্যাপী কর্মবিরতির পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় আশ্বস্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারা কর্মসূচি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাাতের এক দিন পর আজ মঙ্গলবার সভা ডেকেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। বিকেল পাঁচটায় এ সভা হবে। সভা থেকে শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত করার বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।

ফেডারেশনের মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ কামাল  বলেন, আজ বিকেল পাঁচটায় সভা করে তাঁরা তাঁদের অবস্থান জানাবেন।

লাগাতার কর্মবিরতির অষ্টম দিন গতকাল সোমবার বিকেলে গণভবনে আন্দোলনরত শিক্ষকনেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে আন্দোলনরত ৩৭টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী গতকাল বিকেলে অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি শিক্ষকনেতাদেরও গণভবনে পিঠা উৎসবে দাওয়াত দেন। সেখানেই একপর্যায়ে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ কামালসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আটজন শিক্ষকনেতার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক চলে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, জনপ্রশাসনসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও অর্থসচিব মাহবুব আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, শিক্ষকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা যাতে গ্রেড-৩ থেকে গ্রেড-১-এ যেতে পারেন, তার সোপান তৈরি করা হবে। অন্য দাবিগুলো পর্যালোচনা করে পূরণ করা হবে। শিক্ষকনেতারা জানিয়েছেন, নিজেদের ফোরামে আলোচনা করে শিগগির তাঁরা ক্লাসে ফিরে যাবেন।

নতুন বেতন স্কেলে গ্রেডের সমস্যা নিরসনের দাবিতে ফেডারেশনের ডাকে ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের এক দিন আগে গত রোববার শিাসচিবের কাছে লিখিত প্রস্তাবও দেন শিকেরা। এতে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট অধ্যাপকের মধ্য থেকে ৫ শতাংশকে ডিস্টিঙ্গুইশড (বিশিষ্ট বা সম্মানিত) অধ্যাপক করার প্রস্তাব দেন শিকেরা। এই পদের মূল বেতন হবে জ্যেষ্ঠ সচিবের সমান। একই সঙ্গে আগের মতো মোট অধ্যাপকের মধ্য থেকে ২৫ শতাংশকে গ্রেড-১ করাসহ কিছু বিকল্প প্রস্তাবও দিয়েছেন তাঁরা।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 6859862849590450812

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item