স্বামী বটে
https://www.obolokon24.com/2016/01/saidpur_6.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ৬ জানুয়ারী॥
খদ্দের এনে স্ত্রীকে দিয়ে জোড়পূর্বক দেহ ব্যবসার অভিযোগে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারী) রাতে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা শহরের নতুন বাবুপাড়া মহল্লা থেকে স্বামী সুফিয়ান আলম রিজন (২৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে আজ বুধবার (৬ জানুয়ারী) সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
অভিযোগে জানা যায় সুফিয়ান আলম রিজন পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।পূর্বের দুই স্ত্রীকে দিয়ে একই কায়দায় জোড়পূর্বক দেহ ব্যবসা করায় ওই স্ত্রীরা তাকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরপর সে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় কুড়ি বছরের এক নারীকে ২০১৪ সালে জুন মাসে বিয়ে করে। বিয়ের পর নববধুকে নিয়ে সৈয়দপুর শহরের নতুন বাবুপাড়ার জনৈক জফুর আলীর বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে রিজন। ল¤পট চরিত্রের রিজন বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে বন্ধু পরিচয়ে বাসায় খদ্দের এনে স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা শুরু করে। আর এ ঘটনা অন্য কেই যেন জানতে না পারে সেজন্য স্ত্রীকে সর্বদা হত্যা ও গুম করার ভয় দেখিয়ে নজরে রেখে বারবার শাসিয়ে দেয়। এ অবস্থায় স্বামীর এহেন আচরনে স্ত্রী ২০১৫ সালের নবেম্বর মাসে সুযোগ বুঝে স্বামীর বাসা ছেড়ে পিত্রালয়ে পালিয়ে গিয়ে পরিজনদের কাছে বিষয়টি জানায়। পরিবারের লোকজন ঘটনাটি শুনে ৩ ডিসেম্বর নীলফামারী নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করে।মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। ওই মামলা পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ এই লম্পট স্বামীকে খুঁজতে থাকে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তাকে ওই ভাড়া বাসায় পেয়ে গেলে গ্রেফতার করে।
লম্বট এই স্বামী কে গ্রেফতারকারী সৈয়দপুর থানার এসআই নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন সুফিয়ান আলম রিজন প্রেমের ফাঁদে দরিদ্র পরিবারের মেয়েকে কৌশলে বিয়ে করে দেহ ব্যবসায় নামায়। এর আগেও একই কায়দায় দুটি বিয়ে করে স্ত্রীদের দ্বারা দেহ ব্যবসা করার অভিযোগ রয়েছে। বিয়ে করা ছিল তার কাছে একটা কৌশল মাত্র।