নীলফামারীতে ভিক্ষুকদের মাঝে কম্বল বিতরন
https://www.obolokon24.com/2016/01/nilphamari_12.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ১২ জানুয়ারী॥
নীলফামারী জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন বলেছেন নীলফামারী জেলাকে ভিক্ষুক মুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। যারা ভিক্ষাবৃত্তি করেন তাদের নামের তালিকা প্রনোয়ন করা হবে। ভিক্ষা বৃত্তি ছেড়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা, গবাধী পশু পালনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজে তাদের সম্পৃক্তর মাধ্যমে ভিক্ষুকদের স্বাবলম্বী হিসাবে গড়ে তোলা হবে।আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টায় জেলা সদর উপজেলা চত্বরে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান ভান্ডার হতে প্রাপ্ত ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, এতিম শিক্ষার্থী ও গ্রাম পুলিশদের মাঝে কম্বল বিতরন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুজার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেত আলী, কিশোরীগঞ্জ উপজেলার ভিক্ষুক মুক্ত করার রূপকার নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ,নারী ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী, সদর উপজেলার ১৫ ইউনিয়েেনর জন প্রতিনিধিরা ।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার ৯ ইউনিয়নকে ভিক্ষুক মুক্ত করা হয়েছে। সেখানকার এক হাজার ভিক্ষুক আজ নিজেরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। যা আজ দেশের মডেলে পরিনত হয়েছে।এ ছাড়া দেশের প্রধান মন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছেন যেখানে ভিক্ষুক সেখানেই পুনঃবাসন। তাই নীলফামারী সদর উপজেলা সহ জেলার অন্যান্য উপজেলাকেও ভিক্ষুক মুক্ত এলাকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। তাই তিনি এখন থেকে ভিক্ষুকদের প্রতিটি ক্ষেত্রে সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করে বলেন এখনও যে সব ভিক্ষুক বয়স্কো, বিধবা ভাতা, ভিজিডি,ভিজিএফ সহ বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত রয়েছে তাদের প্রত্যেককে প্রতিটি ক্ষেত্রে সহযোগীতা করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহবান জানান। পাশাপাশি তিনি গ্রাম পুলিশদের উদ্যেশে বলেন যেখানে ভিক্ষুক দেখবেন সেখানে তার নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে প্রশাসনের কাছে অবগত করবেন। প্রতিটি কাজে সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক আরো বলেন এখন থেকে ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থার পরিকল্পনা কাজ জোড়দার করা হলো।
মঙ্গলবার কম্বল বিতরন অনুষ্ঠানে জেলা সদরের তিনশত জন ভিক্ষুক, তিনশত জন প্রতিবন্ধী, এতিম শিক্ষার্থী এবং দেড়শত জন গ্রাম পুলিশের মাঝে ৭৫০ পিস কম্বল প্রদান করা হয়।