আন্তর্জাতিক গণহত্যা প্রতিরোধের দিবস,আজ সন্ধ্যা ৬টায় সারা দেশের সকল বধ্যভুমিতে একযোগে আলো প্রজ্জ্বলন
https://www.obolokon24.com/2015/12/Bangladesh.html
অবলোকন ডেস্কঃ
জাতিসংঘের সাধারন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গৌরবের মহান বিজয়ের মাসে এইবারই প্রথম পালিত হচ্ছে গণহত্যার শিকারগ্রস্থদের স্মরণ ও মর্যাদান এবং গণহত্যা প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলার বধ্যভুমিতে আলো প্রজ্জ্বলন করা হবে। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় একযোগে সকল বধ্যভুমিতে আলো প্রজ্জ্বলনের এই কর্মসুচি গ্রহন করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সারা দেশে এই কর্মসুচি পালন করা হবে। এবার থেকে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হবে।
কর্মসুচিতে প্রতিটি জেলার ও উপজেলার জেলা প্রশাসক,উপজেলা নির্বার্হীকর্মকতা,মুক্তিযোদ্ধা,শহীদ ও নির্যাতিত পরিবারদের সদস্যদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
নীলফামারীতে এ উপলক্ষে সরকারি কলেজের চত্বরে থাকা বধ্যভুমিতে এই কর্মসুচি পালনে কর্মসুচি গ্রহন করা হয়েছে বলে জানান জেলা কালচারার অফিসার আরিফুজ্জামান আরিফ।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত লিয়াতক আলী লাকীর এক পত্রে জানানো হয়েছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা যে গনহত্যা চালিয়েছিল তার দৃষ্টান্ত বিরল।এত কম সময়ে একটি মাত্র দেশে ৩০ লক্ষেরও বেশী মানুষ কোথাও হত্যা করা হয়নি। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর এ ধরনের ঘটনা ছিল প্রথম। শুধু তাই নয়,হত্যার সঙ্গে নির্যাতন করা হয়েছে ৬ লক্ষের বেশী নারীকে। যারা পরিচিত বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। এ ছাড়া নিপিড়িত হয়েছে অসংখ্য মানুষ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণহত্যার শিকারগ্রস্থ ও নির্যাতিত মানুষদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ১১ সেপ্টেম্বর /২০১৫ জাতিসংঘের সাধারন সভায় ৯ ডিসেম্বরকে গণহত্যার শিকারগ্রস্থদের স্মরন ও মর্যাদান এবং গণহত্যা প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে প্রচার করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। সেই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এই বছর থেকে প্রতিটি জেলা ও উপজেলার বধ্যভুমিতে আলো প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে গণহত্যার শিকারগ্রস্থ ও নির্যাতিত মানুষদের স্মৃতিকথা স্মরন করার সিদ্ধান গ্রহন করেছে। গনগত্যার শিকারগ্রস্থদের স্মরন ও মর্যাদান দান এবং গনহত্যা প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষে আজ বুধবার ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলার বধ্যভুমিতে সারাদেশে একযোগে আলো প্রজ্জলনের মাধ্যমে দিনটিকে স্মরন করার জন্য জেলা কালচারাল অফিসারকে সমম্বয়কারী হিসাবে কর্মসুচিটি বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।