ভিক্ষুক মুক্ত কিশোরীগঞ্জ কে মডেল আখ্যা দিলেন মন্ত্রী পরিষদের সচিব শফিউল আলম

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ২৭ নভেম্বর॥
ভিক্ষুক মুক্ত নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার ভিুকের পেশা ছেড়ে দেয়া ভিুকদের সাথে উঠোন বৈঠক করছেন বর্তমান সরকারের মন্ত্রী পরিষদের সচিব শফিউল আলম। নীলফামারীর জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেনের সভাপতিত্বে এবং তার সঞ্চালনায় এ সময় মন্ত্রী পরিষদের সচিব, ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দেয়া বেশ কিছু ভিুকদের মুখ থেকে তাদের স্বাবলম্বী হবার বাস্তব কাহিনী শুনে অভিভুত হয়ে পড়েন। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় পুনর্বাসিত ভিুকদের সাথে মতবিনিময়ে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় এই উঠোন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ওই উপজেলার রনচন্ডি স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে।জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় ওই বৈঠকটির আয়োজন করে কিশোরীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।উঠোন বৈঠকের প্রধান অতিথি বর্তমান সরকারের মন্ত্রী পরিষদের সচিব শফিউল আলম, তার বক্তব্যের শুরুতেই নবীর শিা, করনা ভিা মেহেনত করে খাও সবে, এই উক্তি টি উলেখ করে  বলেন আমি অভিভুত। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় এসে ভিাবৃত্তি ছেড়ে ুদ্র ব্যবসা, গাভী-ভেড়া,ছাগল.হাঁস- মুরগী পালনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়া যে, যায় তা দেখিয়ে দিলেন
আপনারা। প্রধান অতিথি কিশোরীগঞ্জ উপজেলার ভিাবৃত্তি ছেড়ে দেয়া পরিবার গুলোকে বাংলাদেশের মডেল আখ্যা দিয়ে বলেন এই মডেল কে ধরে রাখতে প্রয়োজনে আরো সহযোগীতা করা হবে।বক্তব্য শেষে মন্ত্রী পরিষদের সচিব অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শফিউল আলম ভিাবৃত্তি ছেড়ে দেয়া পরিবার গুলোর মাঝে একটি করে কম্বল বিতরন করেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সচিব হুমায়ুন খালিদ, রংপুর বিভাগের কমিশনার দিলোয়ার বখত, কিশোরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম, কিশোরীগঞ্জ উপজেলাকে ভিুক মুক্ত করার সফল নায়ক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান, জেলা প্রশাসনের নেছারত শাখার ডিপুটি কমিশনার (এনডিসি) জ্যোতি প্রু, কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান,রনচন্ডি ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ যে ২০১৪ সালের ৫জুলাই নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলাকে আনুষ্ঠনিক ভাবে ভিুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। যার সফল নায়ক হলেও ওই উপজেলার ইউএনও সিদ্দিকুর রহমান। তাকে সার্বিকভাবে সহযোগী করেন জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন।
জানা যায়, কিশোরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে সিদ্দিকুর রহমান ২০১৩ সালের ৬ই মার্চ যোগদানের পর বিভিন্ন অফিসে ভিুকদের গণউপদ্রব ল্য করে তাদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময়, ভিুক পুনর্বাসন কমিটি গঠন, ভিুক জরিপ, যাচাই-বাচাই করে গোটা উপজেলায় প্রায় এক হাজার প্রকৃত ভিুক নির্বাচনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রনয়ন করা হয়। এর পর তাদের বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে
পুনর্বসান করা হয়।এর মধ্যে ুদ্র ব্যবসার উপকরণ ও দ্রব্য সামগ্রী দিয়ে আয় বর্ধক কাজের মাধ্যমে পুনর্বাসন। একটি বাড়ী একটি খামারের সদস্যকরণ,বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও ৪০দিনের কর্মসূচীতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এমন কি উপজেলা পরিষদ চত্বরে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করে সেখানেও দুইজন ভিুককের কর্মসংস্থান সহ অনেক ভিুককে দুই ধরণের সুযোগ-সবিধা দিয়ে তাদের আর্থিক ও সামাজিক দৈন্যতা দুরীকরণের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়। অপর দিকে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে ১০ বিঘা জমিতে চা বাগান করে সেখানেও বেশ কিছু ভিুককে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে।এসবের পাশাপাশি ঈদ বা অন্য কোন উৎসবে এই সব পরিবারগুলোকে খাদ্য উপকরন বিতরন করা হয়ে থাকে।এখন যে কেউ এই উপজেলা ভ্রমনে এলে খুঁজে পাবেন না একজন ভিুক। মাত্র এক বছর চার মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন উপকরনের সহায়তায় এই সব ভিুকরা ভিাবৃত্তি ছেড়ে দিয়ে কর্মসংস্থানে আজ স্বাবলম্বীর পথ খুঁজে পেয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

সমাজ-সংগঠন 2539387600323415688

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item