রংপুরে তারাগঞ্জ সমবায় অফিস দুর্নীতির আখড়া : কর্তৃপক্ষ নিরব!

হাজী মারুফ রংপুর ব্যুরো অফিস :

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় সমবায় কর্মকর্তা শামছুন্নাহার বেগমের বিরুদ্ধে কর্মে ফাঁকি, দুর্নীতিসহ নানান অভিযোগ উঠেছে।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, ওই সমবায় কর্মকতা অফিসে বসে উপজেলার বিভিন্ন কো-অপারেটিভ সদস্যদের সাথে অডিটের কথা বলে ঘুষ দাবি করেন। না হলে অডিট রির্পোট খারাপ দিবে বলে হুমকি দেয়।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক সদস্য বলেন, নিয়ম থাকলেও সময় মতো নোটিশ দেয়নি। হামার সমিতিগুলার কোন তদারকিও করেন নাই। অন্য আর একজন সদস্য অভিযোগ করে বলেন, আমার কো-অপারেটিভ অফিসে না এসে মুঠোফোনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন মর্মে দুই হাজার টাকা দাবি করে।
সরেজমিনে তদন্ত করে জানা গেছে, গত ১৫/০৯/২০১৫ইং উপজেলা সমবায় অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা কৃষি হলরুমে কো-অপারেটিভ সদস্যদের নিয়ে মাসিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমবায় অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান প্রশিক্ষক দেলোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শামছুন্নাহার বেগম। উপজেলা সমবায় অধিদপ্তর ২৫-৩০ জন সদস্যের প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন। সকাল ১০ ঘটিকা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত কৃষি হলরুমে ওই সদস্যদের দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার নুরে আলম সিদ্দিকি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক সদস্য অভিযোগ করে বলেন, মাসিক প্রশিক্ষণের জন্য প্রত্যেক সদস্যদের কাছ থেকে একশ’ টাকা করে নিয়েছে। জানতে চাইলে ওই সমবায় কর্মকর্তা শামছুন্নাহার বেগম নাস্তা ও মধ্যাহ্ন ভোজের কথা বলে আমাদের কাছ থেকে একশ’ টাকা করে নেয়।
গোপনসূত্রে জানা গেছে, ওই কো-অপারেটিভ সদস্যদের প্রশিক্ষণ বাবদ নাস্তা এবং মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য বরাদ্দ ছয় হাজার টাকা। এসব অপকর্ম ও তার অফিসের দুর্নীতির চিত্র বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের পর গোপন তথ্য ফাঁস হতে থাকে। ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন। তারাগঞ্জ সমবায় কর্মকর্তা তারাগঞ্জ থেকে অফিস করার নিয়ম থাকলেও তা তিনি মানছেন না। এ কারণে বিভিন্ন কাজে তার দপ্তরে এসে স্থানীয় লোকজন ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। তারাগঞ্জে যোগদান থেকে শুরু করে প্রায় সময়ই সকাল ১০টার পরে অফিস আসা ও ৩ টার মধ্যে অফিস ত্যাগ করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও  কর্মকর্তা সাধারণ লোকদের সাথে খারাপ আচরণও করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি নিজেকে পীরগঞ্জের বাসিন্দা, কখনো প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে স্থানীয় লোকের ওপর দাপট খাটান। তার এসব কর্মকা-ে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারাও অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। এলাকাবাসী সরেজমিনে তদন্ত করে ওই ফাঁকিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোড় দাবি জানিয়েছে।
এলাকাবাসির দাবি ওই সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কর্মে ফাঁকি, স্থানীয় লোকজনের সাথে খারাপ আচরণ ও নিয়মিত অফিস না করার কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হউক। ওই সমবায় কর্মকর্তার সকল অনিয়ম ও অপকর্মের সঠিক বিচার চেয়ে সমবায় মন্ত্রীর নিকট দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 325616952701615311

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item