ডোমারে ইউনিয়ন সচিবের দাপটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
https://www.obolokon24.com/2015/10/domar_84.html
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ হামিদুর রহমানের আচরনে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে এলাকাবাসী। নিয়মিত অফিস না করায় বিঘিœত হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের সেবার কার্যক্রম। এলাকাবাসী জানায়, তিনি নিয়মিত অফিসে আসেননা। মাঝেমধ্যে পরিষদে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বাইরে চলে যান। ইউপি সদস্যের নামে মিথ্যা মামলাসহ জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদে তিনি একশত থেকে পনেরশত টাকা করে আদায় করছেন বলে তারা জানান। তারা আরো বলেন, ওই সচিবের দাপটে আমরা অতিষ্ঠ। ইউনিয়নের বাসিন্দা বেলাল, হবিবর, আল আমিন, আনিছুর ও মহির উদ্দিন জানান, জন্ম সনদের জন্য তার কাছে আসলে তিনি তিনশত টাকা ফি দাবী করেন। টাকা না দেয়ায় জন্ম সনদ দেওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি তাদের জানিয়েছেন। তাছাড়া বিলকিস আক্তার নামে এক মহিলার জন্ম সনদ ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে আর জন্ম সনদ না দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইউনিয়ন পরিষদে যারা সেবা নিতে আসেন তাদের সাথেও তিনি খারাপ আচরন করেন। জন্ম সনদে টাকা নেওয়ার সময় এক ইউপি সদস্য প্রতিবাদ করলে তিনি সেই ইউপি সদস্যকে তার রুম থেকে বের করে দিয়ে তার বিরুদ্ধেই মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করায় এলাকার জনসাধারন ক্ষোভে ফুসে উঠছে। হাসেম নামে একজন জানান, মেম্বারসাব আমাদের পক্ষে কথা বলায় তার বিরুদ্ধে তিনি মামলা করেছেন। সোমবার সরজমিনে সকাল ১১ ঘটিকায় ইউনিয়ন পরিষদে গেলে দেখা যায় ২০/৩০ জন ব্যাক্তি জন্ম সনদ নেওয়ার জন্য তার রুমের সামনে দাড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু তিনি অফিসে না আসায় তারা ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা জানান, ঈদের আগে থেকে প্রতিদিন অফিসে আসি জন্ম সনদ নেওয়ার জন্য কিন্তু সচিব সাহেব ঈদের আগে থেকেই অফিসে আসছেন না। এ বিষয়ে সচিব মোঃ হামিদুর রহমানের মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি অফিসে না আসার কথা স্বীকার করে বলেন, অফিসে গেলে এলাকাবাসী আমার রুমে মহিলাকে ঢুকিয়ে দিতে পারে। তাই আমি অফিস করছিনা।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল করিম বলেন, সচিব মাঝে মাঝে অফিস করেন।