ডিমলায় চারটি বিলুপ্ত ছিটমহলে জমির মালিকানা নির্ধারনের কাজ শুরু
https://www.obolokon24.com/2015/10/dimla_17.html
জয়নাল আবেদীন গয়াবাড়ী ইউনিয়ন প্রতিনিধি ডিমলা-
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ডিমলায়সদ্যবিলুপ্ত ৪টি ছিটমহলে জমিরমালিকানা নির্ধারণের কাজ শুরুহয়েছে বৃহস্পতিবার থেকেই।বৃহস্পতিবার থেকে ইউনিয়ন হিসেবেযাত্রা শুরু করা দাসিয়ারছড়ার জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাঅনুযায়ী ওইদিন বিকাল থেকেই জমির মালিকানা নির্ধারণের কাজ শুরু হয়েছে।জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল,সদ্যবিলুপ্ত ছিটমহলের মানুষের নাগরিকঅধিকার ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করতেহলে প্রথমে জমির ওপর তাদেও মালিকানাস্বত্ব নিশ্চিত করতে হবে।প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার পর ওইদিনই শুর হয় পৈত্রিক সূত্রে ভোগদখলি জমির মালিকানা নিয়ে ভূমি মালিকানা জরিপের কাজ, যা অব্যাহত থাকবে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। ডিমলায় সদ্যবিলুপ্ত ৪টি ছিটমহলগুলোর মধ্যে পশ্চিম খড়িবাড়ীতে অবস্থান ৩টি ছিটমহল, বড় খানকি, খারিজাওগিতালদহ
এবং টেপাখড়িবাড়ীতে অবস্হিত একটি নগর জিগাবাড়ী বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে থাকা সদ্যবিলুপ্ত ৩ টি ছিটমহলে জমির মালিকানাস্বত্ব জরিপের কাজ শুরু হয় একই দিনে। দখল শর্তে নিজ জমির দাগ নম্বরসহ মালিকানার কাগজপত্র পাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় নিয়ে জেলা প্রশাসকসহ উচ্চপর্যায়ে বৈঠকের মাধ্যমে চুক্তি বাস্তবায়ন হয়।পরবর্তীতে বেশকিছু কাগজ দুই দেশের কর্মকর্তা পর্যায়ে হস্তান্তর করা হয়।সেখানে জমির খারিজ ম্যাপ রয়েছে। কোচবিহারের কাগজ ও বর্তমান দখলি মালিকানার মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে জমির কাগজপত্র তৈরি হচ্ছে।সূত্রটি জানায়, জমি জরিপের কাজে বিরোধের কোনো সুযোগ নেই।
ছিটমহলের স্থানীয় বাসিন্দারা সবাই সহযোগিতা করছে। তবে কেউ আপত্তি করলে তা নিষ্পত্তির জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি জরিপ পরিচালনা কমিটি রয়েছে।