দেখার কেউ নেই ,সীমাহীন দুর্নীতির জালে বাধা দুইটি আন্তঃনগড় ট্রেন

এ. আই. পলাশ ঃ
বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নের স্বার্থে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য যখন ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং রেল মন্ত্রী মজিবুল হক বাংলাদেশের রেল বিভাগকে দুর্নীতি মুক্ত প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে সারা দেশে রেলের উন্নয়নে ডাবল লাইনের কাজসহ  প্রায় ৫০টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ টি প্রকল্পের কাজ চলমান। বাকী প্রকল্পের কাজ প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। ঠিক সেই মুহুর্তে রেল বিভাগের কিছু অসাধু দুর্নীতি পরায়ন ব্যক্তিরা প্রতিদিন শত শত ট্রেন যাত্রীকে বিনা টিকেটে ট্রেনে তুলে নিয়ে সেই টিকেটের টাকা যাত্রীদের কাছ থেকে নিয়ে ভাগ বাটোয়ারা করছে। এমনকি প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মালামাল ব্যবসায়ীরা ট্রেনে আনানেওয়া করলেও সরকারী কোষাগারে একটি টাকাও জমা হয় না। সব চলে যায় রেলের জিআরপি পুলিশ, এটেনডেন্স, গার্ড, টিটি ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের দুর্নীতি পরায়ন ব্যক্তিদের পকেটে। এভাবেই দীর্ঘদিন যাবত চলে আসছে চিলাহাটি ঢাকা রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ও চিলাহাটি রাজশাহীগামী তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি। এই দুর্নীতির দৃশ্য দেখে মনে হয় দেশে রেল বিভাগের কোন প্রশাসন নেই।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ট্রেন যাত্রীসূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি থেকে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন সরকারীভাবে এবং চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী একটি মেইল ট্রেন বে-সরকারী ভাবে চলাচল করে।চিলহাটি ডোমার নীলফামারী সহ পার্শবর্তী পঞ্চগড় ও ঠাকুগাঁয়ের ট্রেন যাত্রীরা চিলাহাটি হয়ে ট্রেনে দীর্ঘদিন যাবত যাওয়া আসা করে। চিলাহাটি রেল স্টেশন থেকে সপ্তাহে ৬দিন রাজশাহী গামী তিতুমীর এক্সেপ্রেস ট্রেনটি দুপুর ১.৪৫ মিনিটে চিলাহাটিতে প্রবেশ করে এবং ২.২০ মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে চলে যায়। ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রতিদিন সন্ধা ৬.২০ মিনিটে চিলাহাটিতে প্রবেশ করে এবং ছেড়ে যায় রাত ৯.২০ মিনিটে। এই দুইটি ট্রেনে টিকেট কাটা যাত্রীদের আসন না থাকলেও বিনা টিকের যাত্রীদের আসন থাকে ভিইপি যাত্রীদের কেবিনে। এই ট্রেন দুটিতে এটেনডেন্স, জিআরপি পুলিশ ও রেলের নিরাপত্তা গার্ডকে টাকা দিলে আপনি যেকোন ধরণের অবৈধ কাজ করতে পারবেন।আপনার অবৈধ কাজে বাধা দেওয়ারমত কেউ নেই।  এভাবেই প্রতিদিন দুইটি ট্রেনে শতশত যাত্রী ও মালামাল বিনা টিকেটেই সীমিত টাকার যাতায়াত করছে দুর্নীতিপরায়ন ব্যক্তিদের সহযোগীতায়। গত ১৫/১০/২০১৫ ইং চিলাহাটির একজন শিক্ষক ঢাকাগামী নীলসাগর ট্রেনে চিলাহাটি আসছিলেন পথিমধ্যে নামাজের সময় হলে তিনি ট্রেনের নামাজ পড়ার বগিতে নামায আদায়ের জন্য গিয়ে দেখতে পান নামাযের রুমে ২০ থেকে ২৫ জন মহিলা বিনা টিকেটেই এটেনডেন্সের সহযোগীতায় নামায ঘরে বসে আছেন। সেই নামাযি প্রতিবাদ করলে এটেনডেন্স তরিঘরি করে সেই মহিলাদের ভিআইপির এয়ার কন্ডিশন রুমে তাদের বাসার ব্যবস্থা করে দিয়ে সটকে পড়েন এই দৃশ্যটি দেখে অনেক যাত্রী বলেন টিকেট কেটেও বসার সিট নেই। অথচ বিনা টিকেটের যাত্রীদের এত কদর তাদেরকে এয়ার কন্ডিশন রুমে বসার স্থান হল।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2454246600289463198

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item