সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল, ডাক্তার নেই, ঔষধ নেই আছে রোগীর দীর্ঘশ্বাস
https://www.obolokon24.com/2015/08/saidpur_79.html
মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
১৯৬২ সালে সৈয়দপু শহরের নির্মিত এ হাসপাতালে উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় ৫ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র আশ্রয়স্থল। কিন্তু নেই পর্যাপ্ত ডাক্তার। বেড প্রতি বাৎসরিক ১ লাখ টাকা মূল্যের ঔষধ বরাদ্দ থাকলেও প্রতিটি রোগীকে গুছিয়ে দেওয়া হচ্ছে পরামর্শ পত্র। শুধুমাত্র দুর্গন্ধ, ময়লা আবর্জনার পাশাপাশি সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের দীর্ঘশ্বাস লক্ষণীয়।
সূত্র মারফত জানা যায়, সৈয়দপুর শহরের এ হাসপাতালটি কাগজে কলমে ১০০ শয্যায় উন্নীত দেখানো হলেও দীর্ঘদিন ধরে ৫০ শয্যার অবকাঠামো নিয়েই কুড়িয়ে কুড়িয়ে চলছে।
জনবল সংকটতো রয়েছেই। ১৪ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও চিকিৎসা সেবা চলছে ৪ জন ডাক্তার দিয়ে। হাসপাতালে অভিজ্ঞ বা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যেন সোনার হরিণের মতো। গাইনী, মেডিসিন, সার্জারী, এ্যানেসথেসিয়া ও নাক, কান গলার অভিজ্ঞ ডাক্তার ছাড়াও নেই কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। যেসব ডাক্তার রয়েছে তাদের মধ্যে শুধু একজনের অভিজ্ঞতার ডিগ্রী রয়েছে। তিনি কর্মস্থলে সঠিক সময়ে আসলেও বাকিরা আসেন খেয়ালখুশি মত। হাসপাতালে রোগীদের সেবা দেয়ার চেয়ে তারা বাইরে প্রাকটিশে ব্যস্ত। তাছাড়া হাসপাতালে এক্সরে মেশিন ও প্যাথলজি বিভাগ থাকলেও রোগীদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাইরের প্যাথলজি সেন্টারে। শুধুমাত্রা নিজেদের পকেট ভারি করতে তাদের রয়েছে সুকৌশল।১৯৬২ সালে সৈয়দপু শহরের নির্মিত এ হাসপাতালে উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় ৫ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র আশ্রয়স্থল। কিন্তু নেই পর্যাপ্ত ডাক্তার। বেড প্রতি বাৎসরিক ১ লাখ টাকা মূল্যের ঔষধ বরাদ্দ থাকলেও প্রতিটি রোগীকে গুছিয়ে দেওয়া হচ্ছে পরামর্শ পত্র। শুধুমাত্র দুর্গন্ধ, ময়লা আবর্জনার পাশাপাশি সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের দীর্ঘশ্বাস লক্ষণীয়।
সূত্র মারফত জানা যায়, সৈয়দপুর শহরের এ হাসপাতালটি কাগজে কলমে ১০০ শয্যায় উন্নীত দেখানো হলেও দীর্ঘদিন ধরে ৫০ শয্যার অবকাঠামো নিয়েই কুড়িয়ে কুড়িয়ে চলছে।
ূত্রটি জানান, ১০০ শয্যার এ হাসপাতালে ইনডোরে প্রতিদিন ৪০/৫০ ও আউটডোরে আসছেন এক থেকে দেড়শ রোগী। কিন্তু এসব রোগীদের সরকারী বরাদ্দের ঔষধ পাওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না বলে অভিযোগও রয়েছে। কারণ বরাদ্দকৃত ঔষধের বেশিরভাগই অন্য জায়গায় সরবরাহ হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এর কারণে ওই হাসপাতারের একজন চিকিৎসক ও স্টোর কিপার হয়েছেন কোটিপতি। মঞ্জুয়ারা, নাসিমা ও বেবীসহ বেশ কজন রোগী জানান, ডাক্তারী সেবার পাশাপাশি তেমন কোন ঔষধ পাচ্ছেন না তারা। ডাক্তার সংকট ঔষধ চুরিসহ ৫০ শয্যা ওই হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করার জন্য সাবেক সাংসদসহ উর্ধ্বতন দপ্তরে আবেদন জানানোর প্রেেিত বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব মো. শওকত চৌধুরী সেটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করেন। কিন্তু ১০০ শয্যা এ হাসপাতালটিতে কার্যক্রম রয়েছে সেই ৫০ শয্যা হাসপাতালের মতই।
এ ব্যাপারে কথা হয় বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব শওকত চৌধুরীর সাথে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার তাকে নীলফামারী-৪ আসনের এমপি এবং বিরোধীদলীয় হুইপ করেছেন। জনগণের স্বার্থে তিনি আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছেন। অবকাঠামো নির্মাণ চলছে খুব অল্পদিনের মধ্যেই এ হাসপাতালের সকল দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ হয়ে রোগীদের শতভাগ সেবা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।