সৈয়দপুরের ৮ ব্যবসায়ীর নালিশী সম্পত্তিতে আদালতের ক্রোকি আদেশ
https://www.obolokon24.com/2015/07/saidpur.html
মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃভুয়া দলিল সম্পাদন
ও অবৈধ দখলের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় শান্তি ভঙ্গের আশংকায় সৈয়দপুরে
নির্মাণাধিন বহুতল নোয়া সিটি সেন্টারসহ ৮ ব্যবসায়ীর নালিশী সম্পত্তি ক্রোকের
আদেশ জারী করেছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, নীলফামারী। গত ১ জুলাই বুধবার
বিজ্ঞ আদালত ওই আদেশ প্রদান করেন। যার স্মারক নং-৩০৩/২০১৫। জারীকৃত ওই আদেশে
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে রিসিভার নিয়োগ করা
হয়েছে। প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন-অমিত কুমার আগারওয়ালা,
রাজ কুমার পোদ্দার, গোকুল কুমার পোদ্দার, পপুলার জুট
একচেঞ্জ এর স্বত্ত্বাধিকারী হাসান আহমেদ, মোঃ নুর ইসলাম,
মোঃ ইমতেয়াজ ও মোহাম্মাদ মমতাজ।
মামলার আরজি সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক গরজ বশতঃ ১৯৭৮ সালের ৩১ জুলাই প্রভুদয়াল আগারওয়ালা তার মোট সম্পত্তির মধ্যে ১৭৮.৫ শতক
খুলনার দৌলতপুর বাসিন্দা মৃত. সুরেন্দ্র মোহন দাসের
পুত্র শচিন্দ্রনাথ দাসের কাছে পৃথক দুটি দলিলে বিক্রি
করেন। কিন্তু শচিন্দ্রনাথ অন্য জেলার বাসিন্দা হওয়ায় উল্লেখিত
ব্যক্তিবর্গ ২০০৯-২০১৪ পর্যন্ত প্রভুদয়াল আগারওয়ালার স্বাক্ষর/সহিযুক্ত
দলিল সম্পাদন করেন এবং নালিশী সম্পত্তিতে মালিকানা দাবি করেন।১৯৭৮ সালে বিভিন্ন দাগ ও খতিয়ানের দলিলমুলে ১৭৮.৫ শতক জমির নিরঙ্কুশ দখল নিতে শচিন্দ্রনাথ রায় ধারা-১৪৫ ফৌজদারী কার্যবিধিতে চলতি বছর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৯৭/২০১৫। সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে বিজ্ঞ আদালত নালিশী সম্পত্তিতে ক্রোকাবদ্ধ আদেশ জারী করেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০৯-২০১৪ইং পর্যন্ত সম্পাদিত দলিলগুলোতে বিক্রেতা প্রভুদয়াল আগারওয়ালার জাতীয় পরিচিতি নম্বর ৭৩২৮৫১১১৬০৫৭৯ উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় বাংলাদেশের ভোটার তালিকার কোথাও প্রভুদয়াল আগারওয়ালার নাম-নম্বর নেই এবং তিনি বাংলাদেশের বাসিন্দাও নন। প্রভুদয়াল আগারওয়ালা সোনালী ব্যাংক, সৈয়দপুর শাখা থেকে মোটা অংকের ব্যাংকঋণ ও শচিন্দ্রনাথের কাছে জমি বিক্রির টাকা নিয়ে ১৯৭৮ সালের পর ভারতে পাড়ি দেন বলে জানা গেছে। সৈয়দপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ ইসমাইল হোসেন আদালতের ক্রোকি আদেশে তাকে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে স্বীকার করে বলেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ সাপেক্ষে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করা হবে।এ ব্যাপারে ৮ বিবাদীর পক্ষে কথা হয় অমিত কুমার আগারওয়ালার সাথে। তিনি বলেন বাদীর একটি জাল দলিল সম্পাদন করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। মামলার ব্যাপারে তিনি বলেন মামলাটি কখন হয়েছে তা তারা জানেন না। তাদের কাছে আদালত থেকে কোন নোটিশও দেয়া হয়নি বলে জানান।