কিরণমালায় জমে উঠেছে ঈদের বাজার

হাজী মারুফ রংপুর বুরে‌্য্য অফিস : 

ঈদ মানে আনন্দ-ঈদ মানে হাসি খুশি, ঈদ মানে একে অপরের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়া। তাই তো বছর ঘুরে আসে ঈদ। এই ঈদে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা চায় নতুন জামা কাপড় পড়তে। সে হোক না গরীব। সামর্থ অনুযায়ী কেউ যায় বড় বড় শপিংমলে, আবার কেউ যায় কাটা কাপড় নিয়ে
দর্জির দোকানে। দর্জির দোকানে গিয়ে দেখা যায়, টেবিলে কায়দা করে কাপড় বিছানো। তারপর কাচি দিয়ে কচকচ করে কাটচ্ছে। পাশেই সেলাই মেশিনের খরখর শব্দ। পোশাক বানানোর ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে দর্জি এবং স্বর্ণকাররা। ঈদকে সামনে রেখে ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত খুব ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার দর্জি আর স্বর্ণকাররা।
উপজেলার নিউ কেয়া কথ স্টোরের মালিক বলেন, এবছর মেয়েদের আকর্ষণীয় পোষাক কিরণমালা বিক্রি হচ্ছে ২হাজার ৮শ’ থেকে ৩ হাজার, কটকঠি ৮শ, পের্গাটি ৭শ, জলনুপুর ১১শ টাকা করে। অপর দিকে ছেলেদের শর্ট পাঞ্জাবী বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১১শ থেকে আড়াই হাজার টাকা করে। উপজেলার হারুন মার্কেটের এসআর টেইলার্সের মালিক রফিকুল ইসলাম দুলাল। ৪জন কারিগর দিয়ে চলছে তার প্রতিষ্ঠান। রোজা শুরু হওয়ার আগেই অর্ডার বেশি হওয়ায় আরো ২জন কারিগর নিয়োগ করেছেন। তার পরেও গ্রাহক সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। 
রফিকুল ইসলাম জানান, কাজের অর্ডার এখনো আসছে ঈদের আগেও আসবে। তবে গত বছরের চেয়ে কিছুটা কম। থানা রোডের স্মার্ট টেইলার্সের মালিক অমল চন্দ্র বলেন, কাজের ভিড়ে কারিগরদের এখন দম ফেলার সময় নেই। ঈদের আগে গ্রাহকদের পোশাক সরবরাহ দিতে হবে। একই অবস্থা ডায়ম-, সীজান, অন্যনাসহ বিভিন্ন দর্জির দোকানে। 
টেইলার্স মালিকরা জানান, একটি শার্ট ও প্যান্ট কাটিং আটশ’ টাকা, একটি থ্রী পিচ কাটিং দুই’শ টাকা, বোরখা কাটিং ২১০টাকা, ছোটদের ফ্রক কাটিং ২৫০টাকা, বাউজ কাটিং ৮০টাকা, পাঞ্জাবী ২৫০ টাকা করে। টেইলার্সের পাশাপাশি জুতা আর কাপড়ের দোকানগুলোতে চলছে পুরোদমে ঈদের কেনাকাটা। উপজেলার কেয়া কথ স্টোর, মেসার্স ধঞ্জয় ট্রেডিং, রাফসান বস্ত্রলয়, আল মদিনা শপিং সিটিসহ বিভিন্ন দোকানে মেয়েদের কিরণবালা থ্রী পিচ, শাড়ি, কটকঠি, পের্গাটি, জলনুপুর থ্রী পিচ, ছেলেদের শর্ট পাঞ্জাবী, লং শার্টসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক। কাপড়ের পাশাপাশি মহিলারা ভিড় করছে জুয়েলারী দোকানগুলোতে। 
সোনালী ব্যাংকের নিচে গয়না ঘর এর স্বত্বাধিকার উজ্জল সরকার বলেন, ঈদকে সামনে রেখে অনেকেই আসছেন পুরাতন গহনা ঠিক করতে। আবার কেউ আসছেন নতুন গহনার অর্ডার দিতে। পূর্ণিমা জুয়েলার্স, সৌখিন জুয়েলারী দোকানগুলোতে অনেকেই আসছেন তাদের পুরনো গহনা ঠিক করতে, কেউ বা নতুন করে গহনা তৈরি করতে। 

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item