রংপুরে সহকারি শিক্ষিকার সাথে জোরপুর্বক অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা খেলেন প্রধান শিক্ষক
https://www.obolokon24.com/2015/05/post_951.html
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভিআইপি শাহাদত হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
স্কুল সূত্রে জানা গেছে, রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ খোর্দ্দ রংপুর এলাকায় ভিআইপি শাহাদত হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এরশাদ হোসেন খোকন ওই বিদ্যালয়ের অবিবাহিত সহকারি শিক্ষিকা রিতা আক্তারকে নানাভাবে উত্যক্ত করত এবং কুপ্রস্তাব দিত। প্রধান শিক্ষকের এসব অনৈতিক কাজে সায় না দেওয়ায় তাকে বিয়ে করারও প্রস্তাব দেন। তার কথায় কান না দেওয়ায় নানাভাবে হুমকি দেয় ওই শিক্ষক। শিক্ষিকা রিতাকে।
এক পর্যায়ে ঘরে ডেকেই দরজা বন্ধ করে রিতার উপর জোর পুর্বক যৌন নিপিড়নের চেষ্টা চালায়। শিক্ষিকার চিৎকারে স্কুলের শিক্ষার্থীরা এবং স্কুলের পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে এসে শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে এবং প্রধান শিক্ষককে উত্তম মধ্যম দিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে মাহিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় পাঠিয়ে দেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসি প্রধান শিকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে। শিক্ষার্থী সাজু মিয়া, সুলতানা জানায় আমাদের প্রধান শিকের চরিত্র যদি এমন হয় তাহলে আমরা তার কাছে কী শিখব ? তারা ওই শিকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করে। এলাকাবাসি আজম মিয়া জানান, এর আগেও ওই প্রধান শিককে অনৈতিক কাজ করার সময় আমরা হাতে নাতে ধরে অভিযোগ দেওয়ার পরও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সহকারি শিক্ষিকা রিতা আক্তার জানান, তাকে প্রধান শিক্ষক নানাভাবে উত্যক্ত করত। বুধবারও তিনি আমাকে একটি কে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতা হানির চেষ্টা চালায়।
এব্যাপারে প্রধান শিক এরশাদ হোসেন খোকন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন একটি মহল তাকে নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা চালাচ্ছে। মাহিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুল আজিজ বলেন, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসি প্রধান শিক্ষকের অনৈতিক কাজের সময় তাকে আটক করে মারধর করছিল। এসময় জনতার রোষানলে থেকে বাঁচাতে আমরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি।##