ফলোআপঃআজও গ্রেফতার হয়নি রাশেদার খুনি

আনিছুর রহমান মানিক,ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে স্ত্রী হত্যার দায়ে পাশন্ড স্বামী পলাতক। মামলাসুত্রে যানাযায়,উপজেলার গোমনাতী ইউনিয়নের উত্তর আমবাড়ী প্রামানিক পাড়া গ্রামের মৃত আবদার আলীর পুত্র আব্দুল লতিফের সাথে একই ইউনিয়নের উত্তর আমবাড়ী ঝাংগর পাড়া গ্রামের মৃত ছাবেদ আলীর কন্যা রাশেদা বেগমের বিগত ১৫ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। ৪ সন্তানের জননী রাশেদা লতিফের সংসারে অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে সংসার জীবন চালিয়ে আসছে। গত ০১/০২/১৪ ইং তারিখে দুপুরে রাশেদার বড়
মেয়ে আলো আখতার স্কুল থেকে এসে বই নিয়ে ঘড়ে প্রবেশ করতেই দেখে তার মা রাশেদার লাশ গলায় রশি লাগানো অবস্থায় ঘড়ে ঝুলে আছে। তার চিৎকারে এলাকাবাসী এসে রশি কেটে লাশ মাটিতে নামায়। পরে ডোমার থানায় খবর দিলে মৃত রাশেদার স্বামী লতিফ বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যায়। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পরদিন ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে ডোমার থানায় একটি ইউডি মামলা হয়। এদিকে ময়না তদন্ত রিপোর্ট ডোমার থানায় আসলে তাতে রাশেদাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্যেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ নিজেই বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলার দায়ের করে। মামলা নম্বর-০২, তারিখ-০৫/১২/১৪ ইং। উক্ত হত্যা মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই জাকির হোসেন জানান,আমি সরেজমিনে তদন্ত করছি এপর্যন্ত কোনো আসামী ধরা পরে নাই তদন্ত অব্যাহত আছে। পুলিশ ধারনা করছে প্রতিবেশী অথবা তার স্বামী আব্দুল লতিফ নিজেই গলাটিপে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। অদ্যবদি এই মামলার কোনো আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকায় ােভের সৃষ্টি হয়েছে। নিহিত রাশেদার স্বামী আব্দুল লতিফ অদ্যবদি পলাতক রয়েছে। প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জোর দাবী জানান নিহত রাশেদার পিতার পরিবার।