সৈয়দপুর পৌরসভায় ড্রেনের পানি ঢুকে পড়ছে ঘরে ঘরে, ২ লাখ মানুষের ভোগান্তি

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
সৈয়দপুরে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিপাতে ড্রেনগুলি ভরে গিয়ে নোংরা পানি ঢুকে পড়ছে মানুষের ঘরে ঘরে। শুধুমাত্র ড্রেনের আউটলেট সুবিধা না থাকায় শহরে প্রায় ২ লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগে। দুর্গন্ধ আর নোংরা পানির জলাবদ্ধতায় জনস্বাস্থ্য পড়েছে হুমকির মুখে।

সূত্র মতে, সৈয়দপুর পৌর এলাকায় প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার ড্রেন রয়েছে। এসব ড্রেন পাকা হলেও নিয়মিত পরিস্কারের অভাবে তার প্রায় সবই ভরাট হয়ে গেছে। পৌর এলাকার আউটলেট ড্রেন গুলোর একটি শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক হয়ে মুন্সিপাড়া মহল্লার পাশ ঘেষে মিশেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পচা নালায়। এছাড়া বেশ ক’টি মহল্লার সাথে সংযুক্ত রয়েছে ক্যান্টনমেন্ট সড়কের অপর এক প্রধান আউটলেট ড্রেনের সাথে। তবে মহল্লার ছোট ড্রেন গুলোর সাথে বড় ওইসব ড্রেনের কোন সংযোগ দিতে পারেনি পৌরসভার স্যানেটারী বিভাগ।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে, পৌরসভার এক কর্মকর্তা জানান, ১৯৯৭ সালের দিকে ওই আউট লেট মাস্টার ড্রেনগুলো তৈরী করা হয়। কিন্তু পরিকল্পিত নয় বলেই সেগুলি কাজে আসছে না।মুল ড্রেনের সাথে মহল্লার ছোট ড্রেনগুলোর সংযোগও দেয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে শহরের যেগুলি জলাশয় বা পুকুরে ড্রেনের পানি পড়ত সেগুলো মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে।
শহরের মুন্সিপাড়াস্থ জোড়াপুকুর ভরাট করে ঈদগাহ্ নির্মাণ করেছেন নীলফামারী ৪ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী। তিনি জলাবদ্ধতার কথা না ভেবে মতার অপব্যবহার করে এ কাজটি করেছেন বলে পৌর পরিষদের অভিযোগ। মুন্সিপাড়া মহল্লাবাসী জানান, ওই এলাকার নোংড়া সব পানি পড়তো জোড়াতলা পুকুরে। কিন্তু সেটি ভরাট করে ঈদগাহ নির্মাণ করায় ড্রেনের পানি ঢুকে পড়ছে মানুষের ঘরে ঘরে। নামাজী ও শিার্থীদের চলাচলে ভোগান্তি উঠেছে চরমে। জোড়াপুকুর ভর্টা করে ঈদগাহ নির্মান করায় মুন্সিপাড়াবাসী সম্প্রতি বার মাসই জলাবদ্ধতায় ভুগছে। অথচ পৌর পরিষদ কোন প্রতিবাদই করেননি। এলাকাবাসী বলছেন, ওই এলাকায় ২টি কলেজ, ২টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ১০টিরও বেশী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদ-মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিার্থীসহ নামাজীরা হরহামেশায় দুভোর্গ পোহাচ্ছে। নোংরা পানির জলাবদ্ধতায় ঘরে ঘরে ডায়েরিয়া, আমাশয় ছড়িয়ে পড়েছে। ওই এলাকার কাউন্সিলর আক্তার হোসেন ফেকু জানান, পানি নিস্কাশনের জন্য পৌর পরিষদকে প্রকল্প দিয়েছি। কিন্তু বাজেট নেই বলেই ব্যর্থতায় কোমর প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে।
এ ব্যাপারে পৌরসভার প্যানেল মেয়র জিয়াউল হক জিয়া বলেন, পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়রের কারণেই পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। যার ফলে আউট লেট ড্রেন গুলো কাজে আসছে না এবং জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির কবলে পড়েছে শহরবাসী। তিনি বলেন, ড্রেন গুলোর সংযোগের জন্য প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকা প্রয়োজন। সরকারীভাবে সহায়তা মিললে অবস্থার উন্নতি হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পুরোনো সংবাদ

জনদূর্ভোগ 4940040753392092315

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item