জলঢাকায় এক মিনিটের টর্নেডোতে ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড।

আবু ফাত্তাহ্ কামাল পাখি,স্টাফ রিপোর্টারঃ  রবিবার রাতে টর্ণেডোর আঘাতে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের তালুক গোলনা গ্রামের প্রায় চার শতাধিক পরিবারের সহস্রাধীক ঘরবাড়ি ও দুটি শিা প্রতিষ্ঠান তালুক গোলনা রশিদুল ইসলাম চৌধুরী দাখিল মাদ্রাসা এবং তালুক গোলনা দনিটারী এবতেদায়ী মাদরাসা, শতশত গাছপালা ,বাঁশবাগান ভেঙ্গে পড়েছে। মাটির সাথে মিশে গেছে উঠতি ফসল ভুট্টা ও বোরো ধান তে। ঘর ও গাছচাপা পড়ে আহত হয়েছে শতাধিক ব্যাক্তি।

জলঢাকা থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির জানান খবর পেয়ে থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাহিরের লোকজনের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করা হয়। আহতদের মধ্যে গোলনা ইউনিয়নের তালুক গোলনা গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম উদ্দিন (৫০), হুসেন আলীর স্ত্রী লাভলী বেগম (৩৫), একরামুল হকের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৩০), জাহেদুল ইসলামের স্ত্রী সোনালী বেগম (৩২) সহ ২৫জন কে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার টর্নেডো তিগ্রস্থ এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তিগ্রস্থ্য পরিবার গুলোর মাঝে শুকনা খাবার বিতরন করেন। এ ছাড়া স্থানীয় একটি কলেজের শিক ও ছাত্ররা চাঁদা তুলে তিগ্রস্থ্যদের মাঝে খিচুরি বিলি করেছে। এ সময় সংসদ সদস্য বলেন তিগ্রস্থ্যদের চুড়ান্ত তালিকার পর সরকারিভাবে সকল প্রকার সাহার্য্য প্রদান করা হবে।
ওই গ্রামের অধির চন্দ্র অধিকারী সহ একাধিক ব্যাক্তি জানান মাত্র এক মিনিটের টর্নেডোতে গ্রাম তছনছ হয়ে লন্ডভন্ড হয়ে যেতে পারে তা স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। তারা জানায় রবিবার রাত প্রায় ১০টার দিকে উত্তর পূর্ব কোন থেকে আগুনের কুন্ডলী আকারে প্রবল বেগে টর্নেডো এসে মাত্র ১ মিনিটে তালুক গোলনা গ্রামটি লন্ডভন্ড করে দিয়ে চলে যায়। ঘরবাড়ির পাশাপাশি গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে ও উড়িয়ে নিয়ে গেছে টিউবয়েল । এমনকি পাকা ঘরের দেয়াল ভেঙ্গে দিয়েছে। কার ঘরের টিনের চালা কোথাও নিয়ে গেছে কেউ ঠাওর করতে পারছেনা। এমন কি ঘরের আসবাবপত্র গুলো পর্যন্ত ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায়। এ সময় মুসলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টি থেমে গেলে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে বাহিরে থেকে লোকজন নিয়ে এসে ঝড়ের কবলে পড়া পরিবারের লোকজন কে উদ্ধার করে বিভিন্ন শিা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় জলঢাকা থানার পুলিশের সহায়তায় আহত ২৫ জন কে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এদিকে এলাকাবাসী জানায় সোমবার সকালে বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন খাদ্য সামগ্রী এনে তিগ্রস্থদের মাঝে বিতরন করেছে।
গোলানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম চৌধুরী জানায় ঘূর্নিঝড়ে প্রায় ৪ শতাধিক পরিবারের সহ¯্রাধীক বসতবাড়ি সম্পূর্ন ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। এলাকার ৫শ একর ভুট্টা ও ২শত একর বোরো ধান সম্পুর্ণ ভাবে বিনষ্ট হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন জানান প্রাথমিকভাবে সেখানে ৮ মেট্রিকটন খয়রাতি চাল বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। তিগ্রস্থ্যদের মাঝে তা বিতরনের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item