জলঢাকায় নির্যাতনের শিকার এক গৃহবধু হাসপাতালে কাতরাচ্ছে

মোঃ মর্তুজা ইসলাম, জলঢাকা নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর জলঢাকায় শনিবার রাতে পুষ্পিতা রানী স্মৃতি (২৫) পরিবারের সদস্যদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২নং শয্যায় কাতরাচ্ছে। নির্যাতিতা স্মৃতি পাশ্ববর্তী ডিমলা উপজেলার সোনাখুলী গ্রামের শচিন্দ্রনাথ রায়ের কন্যা। স্মৃতি জানায়, প্রায় ৫ বছর আগে ভালোবেসে ২ পরিবারের অভিভাবকদের সম্মতিতে জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা তিলাই গ্রামের মৃত কেশব চন্দ্র রায়ের ২য় পুত্র মানিক চন্দ্রের সাথে আমার বিয়ে হয়।
এর কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামী আমাকে ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়। তারপর শ্বশুর বাড়িতে শ্বাশুরী ও স্বামীর বড় ভাই বিভিন্ন ভাবে আমাকে নির্যাতন করতে থাকে। সেখানে সকল নির্যাতন সহ্য করেও আমি স্বামীর প্রতীায় চেয়ে থাকি। মাঝে মাঝে নির্যাতনের মাত্রা এতো বেশি হতো যে তখন উপায়ন্তর না দেখে বাবার বাড়ি গিয়ে চলে যেতাম। সাড়ে ৪ বছর পর স্বামী মানিক চন্দ্র বাড়িতে এসেছে শুনে আমি আবারও শ্বশুরবাড়ীতে ছুটে যাই। এরপর শুরু হয় আবার নির্যাতন। নির্যাতিতা স্মৃতি রানী আরও জানায়, মাস খানেক আগেও শ্বশুর বাড়ীর লোকজন লাঠি দিয়ে আমাকে মারধর করলে আমার ডান হাত ভেঙ্গে যায়। পরে পারিবারিক ভাবে মুরুব্বিদের নিকট তারা ভুল স্বীকার করলে বিষয়টি মিমাংসা হয়। ১৫ মে শুক্রবার পুনরায় তারা আমার উপর আবারও নির্যাতন করতে থাকে। একসময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি এবং জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি হাসপাতালে। আমি এ নির্যাতনের বিচার চাই। এ দিকে নির্যাতনকারীর স্বামী মানিক চন্দ্র ঘটনার পর থেকে আত্ম গোপনে চলে গেছে। তার ভাই মাধব চন্দ্র নির্যাতনের ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি সে সময় বাসায় ছিলাম না।’ এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার দেবাশীষ রায় জানান, ‘মেয়েটির মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্মৃতির পরিবারের প থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান স্মৃতির কাকা বনোমালী রায়।

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item