ডোমারের মিরজাগঞ্জে আম চাষে ভাগ্য পরিবর্তন করেছে নূর আলম

আনিছুর রহমান মানিক,ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারী ডোমারে আম বাগান করে ভাগ্য পরিবর্তন করেছে নূর আলম নামে এক যুবক। বেকারত্বকে বিদায় দিয়ে সংসারে ফিরে এনেছে সচ্ছলতা। জীবন যুদ্ধে তার এই সফলতার মূলে আম চাষ। নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী  ইউনিয়নের মিরজাগঞ্জ চৌরঙ্গী পাড়া গ্রামের  আতিয়ার রহমানের পুত্র নূর আলম।
মিল চালাতাল ও ইট ভাটার ব্যাবসায় ল ল টাকা হারিয়ে  হতাশা যখন তার নিত্য সঙ্গী, পিতার সামান্য জমিতে যখন তার সংসার জীবন চালাতে দায় ঠিক সেই সময় বন্ধুদের পরামর্শে আম চাষে আগ্রহী  হয়ে বাড়ীর পার্শের এক টুকরো জমিতে প্রাথমিক ভাবে শুরু করেন আম চাষ। প্রথমে ১০টি চারা সংগ্রহ করে তার জমিতে লাগায়। চারা গাছ গুলি পূর্ণতা পেয়ে ২য় বছর হতে আম ধরতে শুরু করেছে। ১০ টি গাছের আম নিজে খেয়ে ইতি মধ্যে ৫ হাজার টাকায় বিক্রিও করেছে সে। এতে করে তার আগ্রহ আরো বেরে যায় আম চাষের উপরে। সেই বর্ষার মৌসুমে চিলাহাটির গোসাই ব্র্যাক নার্সারী হতে আমরোপলি,হাড়ি ভাংঙ্গা,ফজলী,খ্রিষ্টাপল সহ নানা প্রজাতীর আমগাছ ও লিচুর ১শত গাছ কিনে ১ বিঘা জমিতে লাগিয়ে দিন রাত পরিশ্রম করে কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে গত ৬ বছর ধরে পরিচর্চার মাধ্যমে নিজেকে সাবলম্বী করে গড়ে তুলতে সম হয়েছে নূর আলম। তিনি যানান প্রতি মৌসুমে বাগানের আম নিজে খেয়ে আত্বীয় স্বজনকে দিয়ে গত বছর ৩৫ হাজার টাকার আম বিক্রি করেছে। তবে এবারে ফলন বেশী হওয়ায় ৫০ হাজার টাকার বেশী আয় হবে বরে তিনি আশা করেন। নূর আলমের সখের আমের বাগান  দেখে এলাকার অনেক মানুষ আম গাছ নাগাতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। সরকারী পৃষ্টপোষকাতা পেলে ডোমারে কৃষিতে আম চাষ নতুন মাত্রা যোগ হবে এমনটাই মনে করছে এলাকার কৃষক।

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item