হিন্দুদের ভারত পাঠিয়ে দেয়ার হুমকীর পোষ্টার সাঁটিয়ে ডিমলায় মন্দিরে আগুন॥ এলাকায় আতঙ্ক

জাহাঙ্গীর রেজা,ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ‘পুজা-পর্বন চলবে না, হরি মন্দির/দুর্গা মন্দির থাকবে না। হিন্দু বেটা পালাও ভারতে, এদেশ মোদের রক্তের জীবন। গড়ব দেশ- জামায়াত-শিবির বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
মোদের শপথ রক্তাক্ত জীবন, কত জীবন লাঞ্চিত/কত জীবন ফাঁসি-হিন্দু বেটার হবে না এ দেশের মাটি।
এ দেশ মোদের রক্তে রঞ্জিত, স্বাধীনতার সাধ কত? ফাঁসি দেখবে কত। হঠাও অভিযান হিন্দু বেটার নেই স্থান।

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কাকিনা চাঁপানী সার্বজনিন পুরাতন দূর্গামন্দিরে মঙ্গলবার ভোররাতে অগ্নিসংযোগ করে পোস্টার সাটিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনায়  মন্দিরটি সম্মুখভাগের গ্রিলসহ সামনের খুটি পুড়ে গেছে। এলাকাবাসি দুস্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করতে না পারলেও  পোস্টারের একটি লাইনে লেখা রয়েছে জামায়াত-শিবির বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। এ থেকে অনেকের ধারণা ঘটনাটি যুদ্ধাপরাধীর মামলায় ফাসীতে দন্ডিত কামারুজ্জামানের প অবলম্বন করে জামায়াত শিবির এই ঘটনা ঘটিয়েছে।  ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার বসবাসরত প্রায় ৪শত হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ওই মন্দিরের সভাপতি নলিনী মোহন রায় বলেন, মঙ্গলবার ভোরে মন্দিরে আগুন দেখেতে পায় এলাকাবাসি। এ সময় লোকজন এগিয়ে এসে দেখে মন্দিরটি সম্পূর্ণ ভস্মিভুত হয়েছে। পরে মন্দিরের পাশে সাটানো বিভিন্ন লেখা সম্বলিত পোস্টার দেখতে পায়। পরে বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দীন সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ঘটনাস্থলে সাটানো পোস্টার উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় ওই মন্দিরের সভাপতি নলিনী মোহন রায় বাদী হয়ে ডিমলা থানায় একটি মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিয়েছে।
নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দীন সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচার কার্যে বিঘœ সৃষ্টি করতে একটি মহল দেশে সম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ল্েয এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তিনি জানায়। ফলে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠছে এ ধরনের ঘটনা জামায়াত শিবির ছাড়া অন্য কেউ ঘটনাতে পারে না।
এ ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেছেন নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট অয় কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রমেন্দ্র নাথ বর্ধণ বাপ্পী, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খোকারাম রায়। ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপড় আঘাত হানার বিষয়ে অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 1695712422666702644

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item