সৈয়দপুরে দশম শ্রেণীর ছাত্রকে জোরপুর্বক বাল্য বিয়ে

আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি) স্টাফ রির্পোটার- নীলফামারীর সৈয়দপুরে দশম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রকে জোরপুর্বক বাল্য বিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রের পরিবারের প থেকে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার  বেলাইচন্ডী ইউনিয়নের সোনাপুকুর চাকলা গ্রামের মো. তোফায়েলের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে রুবেল (১৪)। সে তাঁর মামা সৈয়দপুর উপজেলার এক নম্বর কামারপুকুর ইউনিয়নের কামারপুকুর বাগানবাড়ী এলাকার মো. বাবুল হোসেনের বাড়ি থাকে। আর মামার বাড়ি সংলগ্ন কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়ে। ঘটনার দিন গত ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় আনুমানিক ৭ টার দিকে রুবেল তাঁর বিদ্যালয়ের সহপাঠী একই এলাকার আবু তাহেরের মেয়ে মোছা. সোহাগীর বাড়িতে কাসের পড়া দেখাতে যায়। আর এ সুযোগে স্কুল ছাত্রী সোহাগীর বাবা আবু তাহের ও মা মোছা. মঞ্জিলা বেগমসহ তাদের বেশ কয়েকজন নিকটাত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতায় রুবেলকে আটক করেন। পরে স্থানীয় এক নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার ( কাজী) ডেকে স্কুল ছাত্রী সোহাগীর সঙ্গে সহপাঠী দশম শ্রেণীর ছাত্র রুবেলের জোরপূর্বক বাল্য বিয়ে দেয়া হয়েছে। আর ওই বাল্য বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেন উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্ট্রার (কাজী) রোস্তম আলী।  

এদিকে, এ ঘটনার খবর পেয়ে স্কুল ছাত্র রুবেলের মামা ও মামী তৎনাৎ সোহাগীদের বাড়িতে গেলে তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়। ওই বাল্য বিয়ে দেওয়ার পর থেকে স্কুল ছাত্র রুবেলকে সোহাগীদের বাড়িতে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগে উলেখ করা  হয়েছে।
এ ঘটনায় স্কুল ছাত্র মঞ্জুরুল ইসলাম রুবেলের মামী মোছা. লিপি আক্তার গত শুক্রবার রাতে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ অভিযোগ পেয়ে ইউএনও আবু ছালেহ মো. মুসা জঙ্গী ঘটনার বিষয়ে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক সত্যতার ব্যাপারে তাকে অবহিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়াও স্কুল ছাত্র রুবেলকে জোরপূর্বক আটকে রাখার বিষয়ে তাঁর পরিবারের প থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। স্কুল ছাত্র রুবেলের মামী মোছা. লিপি আক্তার  ৪ এপ্রিল শনিবার দুপুরে সৈয়দপুর থানায় ওই ডায়েরী (জিডি) করেছেন। শনিবার  পর্যন্ত  আটক স্কুল ছাত্র রুবেলকে উদ্ধার করতে পারেননি পুলিশ। এ ব্যাপারে  জানার জন্য সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মুঠোফোনে কয়েক দফা ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।ওই বাল্য বিয়ের বিষয়ে বার বার নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার রোস্তম আলীর ফোনে কল দেওয়া হলেও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে, রুবেলের মা-বাবা তাদের আদরের ছেলেকে উদ্ধারের জন্য গত দু’দিন ধরে উপজেলা প্রশাসন,পুলিশ ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন জায়গায় ধর্ণা দিচ্ছেন।
 উপজেলার এক নম্বর কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান  জিকো আহমেদ জানান, ইউএনও’র নির্দেশ পেয়ে গত শুক্রবার রাতেই তিনি মেয়ের (সোহাগী) বাড়িতে গিয়ে তাঁর পবিবারের লোকজনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন। এ সময় তারা রুবেলের  সঙ্গে সোহাগী’র বাল্য বিবাহ দেওয়ার সত্যতা অপকটে স্বীকার করেন। তারা জানান, তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা শনিবার রুবেলকে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন বলে তাকে জানিয়েছিল। বিষয়টি  ইউএনওকে অবহিত করাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 4824166929123045750

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item