বিএ পরীক্ষায় ফেল মারা সাইফুল ইসলাম জাল সনদ দিয়ে চাকুরী করছেন শিক্ষকতারর্

আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টার-
নীলফামারী প্রতিনিধি ॥
সাইফুল ইসলাম। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দক্ষিণ কাঁকড়া সাইফুন সাইড নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারি শিক্ষক। বিএ পাশ সনদ দেখিয়ে ১৯৯৪ সালের ২৫ নবেম্বর এই শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ে চাকুরী করছেন। সরকারিভাবে এমপিও ভুক্ত হয়ে সরকারি সুযোগ সুবিধাও ভোগ করছেন। কিন্তু এর ভেতরে রয়েছে বড় ধরনে গলদ ।
অভিযোগ ওই শিক্ষকের শিক্ষাগত বিএ পাশের সনদটি জাল ও ভুয়া। এ অবস্থায় একজন বিএন পরীক্ষায় ফেল মারা ব্যাক্তি কি ভাবে শিক্ষকতার চাকুরী করছেন তা এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলেছেন।  অভিযোগ মতে ওই শিক্ষক বিএ (পাশ) সার্টিফিকেট দেখিয়ে ১৯৯৪ সালের ২৫ নবেম্বর সমাজ বিজ্ঞানে সহকারি শিক্ষক পদে উক্ত বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেয়া হয়। অথচ ওই সাইফুল ইসলাম নিয়োগ প্রাপ্তীর দুই বছর পর ১৯৯৬ শিক্ষা বর্ষে নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে বিএ (বিশেষ) পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। তাঁর রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ছিল পি-৩৮৯৯, রোল নম্বর-৫৩৫১। পরীক্ষার ফলাফলে তিনি ফেল (অকৃতকার্য) মারেন। এরপর আর তিনি বিএ পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেননি। অথচ সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে সহকারি শিক্ষক পদে বহাল তবিয়তে চাকুরী করছেন। চাকুরীর কারনে তিনি এ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের অংশ এবং এমপিও ভুক্তির সরকারি অংশের প্রায় ১৮ লাখ টাকার বেতনভাতা উত্তোলন করেছেন।  এলাকাবাসীর এমন অভিযোগের পাশাপাশি ওই বিদ্যালয় ঘিরে পাহাড় সমান অভিযোগ রয়েছে। এলাকার সচেতন মহল বলছেন সরকারি  বিধান মতে নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জনবল কাঠামোয় ৬ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও কর্মরত রয়েছেন (এমপিও ভুক্ত) ৯ জন। এদের মধ্যে কৃষি বিষয়ক সহকারি শিক্ষক পদে ডালিম কুমার রায় নিয়োগ পেয়েছেন ২০১৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়রি, এবং সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ক সহকারি শিক্ষক পদে মাজহারুল ইসলাম নিয়োগ পান ১৯৯৪ সালের ২৫ নভেম্বর।সুত্র মতে কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে নিয়ম নীতি ছাড়াই চলছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দক্ষিণ কাঁকড়া সাইফুন সাইড নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। প্যাটার্ন বহির্ভূত এবং ভূয়া সার্টিফিকেটধারী নিয়োগকৃত শিক্ষকরা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছেন সরকারের লাখ লাখ টাকা। যেন এসব দেখার কেউই নেই।এ ব্যাপারে সাইফুল ইসলামের সাথে কথার চেষ্টা করা হলে তিনি কোন কথা বলতে স্বীকৃতি জানান। তবে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম কিবরিয়ার সাংবাদিকদের বলেন  সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারি শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে বার বার ওই শিক্ষককে সতর্ক করা হলেও কোন ফল হয়নি। জানিনা এ নিয়ে তদন্ত হলে  হয়তোবা আমাদেরও বেতন-ভাতাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে’।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 2265769093989184619

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item