স্ত্রীকে ঘরে ফেরাতে তুকতাক ঝাড়ফুকের নামে কবিরাজকে ভাগ্নি দিয়ে ধর্ষন মামা গ্রেফতার কবিরাজ পালিয়ে গেলো
https://www.obolokon24.com/2015/03/-post14_97.html
পুলিশ জানায় ধর্ষিতা ছাত্রীটি পূর্ব বাইশপুকুর গ্রামে তার মামা রেজাউল ইসলামের বাড়ি থেকে লিখাপড়া করতো। স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকার সাথে রেজাউলের পারিবারিক কলহে স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে একই ইউনিয়নের চাপানী গ্রামের পিতাত্রালয়ে অবস্থান করছিল। কোনভাবে স্ত্রীকে নিজবাড়িতে ফেরাতে পারছিল রেজাউল। তাই স্ত্রীকে বাড়িতে ফেরাতে তুকতাক ও ঝাড় ফুকের জন্য রেজাউল কবিরাজ খুঁজতে থাকেন। এ অবস্থায় প্রতিবেশী হামিদুল ইসলাম (৩০) রেজাউলকে ডালিয়া গ্রামের মৃত নছর উদ্দিনের পুত্র কবিরাজ রফিকুল ইসলামের (৪০) কাছে নিয়ে যায়। কবিরাজ সব কথা শুনে রেজাউলের স্ত্রীকে স্বামীর ঘরে ফেরাতে ঝাড়ফুক ও তুকতাক করতে একজন কম বয়সের কুমারী মেয়ে দাবি করে। কারন ওই কুমারী মেয়েকে দিয়ে অন্ধকার ঘরে মন্ত্র পড়াতে হবে। তার প্রস্তাবে রেজাউল রাজি হয় রেজাউল। কবিরাজের কথা মতো গত মঙ্গলবার( ১০ মার্চ) রাতে কথিত কবিরাজ রফিকুল তার সঙ্গি ও হামিদুল ইসলাম রেজাউলের বাড়িতে যায়। সেখানে মন্ত্রজবে রেজাউল তার ষষ্ঠ শ্রেনী পড়–য়া ভাগ্নি কে কবিরাজের হাতে তুলে দেয়। ওই কবিরাজ মন্ত্র জবতে একটি অন্ধকার ঘরে মেয়েটিকে নিয়ে প্রবেশ করে ঘরের দরজা আটকিয়ে দেয়। দীর্ঘক্ষন ঘরে থাকার পর মেয়েটি বাঁচাও বাঁচাও বলে আতœচিৎকার করতে থাকে। মেয়েটির বরাদ দিয়ে পুলিশ জানায় সেখানেই মেয়েটি জোড় পূর্বক ধর্ষন করে ওই কবিরাজ। এরপর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মেয়েটির মামা রেজাউল তার ভাগ্নীকে পাশ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার ভাজনী গ্রামে মেয়েটির পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। সেখানে চিকিৎসা করে মেয়েকে সুস্থ্য করে তুলে মেয়েকে নিয়ে তার পিতা শনিবার সকালে ডিমলা থানার এসে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ দুপুরে ঐ এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযান পুলিশের হাতে আটকহ হয় মেয়েটির মামা রেজাউল। এ সময় নিজের মটর সাইকেল ফেলে পালিয়ে যায় ধর্ষক কবিরাজ। পুলিশ কবিরাজের মটরসাইকেল টি জব্দ করে থানায় নিয়েছে।
ডিমলা থানায় ওসি (তদন্ত) হারিছুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এ ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। মেয়েটির রবিবার জেলার আধুনিক সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে
