বলিভিয়ায় জি-৭৭ মন্ত্রী পর্যায়ের সভা শুরু
https://www.obolokon24.com/2014/11/blog-post_29.html
প্রাকৃতিক সম্পদের দক্ষ ব্যবহারের জন্য দায়বদ্ধ সমাজ গঠন আহ্বানের মধ্য দিয়ে বলিভিয়ার তারিজায় আজ শুক্রবার গ্রুপ-৭৭ এর মন্ত্রী পর্যায়ের সভা শুরু হয়েছে। সভায় অংশ নিতে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুসহ জি-৭৭ ভুক্ত সদস্য দেশগুলোর শিল্প, অর্থ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রীগণ ইতোমধ্যে তারিজায় পৌঁছেছেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার এ কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থার সহায়তায় জি-৭৭ এর চেয়ারম্যান বলিভিয়া এবং চীন যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করেছে। ২ দিনব্যাপী এ সভা আগামীকাল শনিবার শেষ হবে। সভায় প্রাকৃতিক সম্পদের সুব্যবস্থাপনা ও টেকসই
শিল্পায়ন কৌশল নিয়ে জি-৭৭ ভূক্ত দেশ এবং চীনের প্রতিনিধিরা বিস্তারিত আলোচনা করবেন। এতে তারা প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় নিজ দেশের অভিজ্ঞতা ও গৃহিত কর্মপন্থা তুলে ধরবেন।সভায় শিল্পমন্ত্রী প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের লক্ষ্যে জি-৭৭ ভূক্ত দেশগুলোতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে নীতি ও আইন কাঠামো প্রণয়নের তাগিদ দেবেন। এছাড়া তিনি বিকল্প প্রাকৃতিক সম্পদের উৎস খুঁজে বের করার পাশাপাশি দক্ষতার সাথে প্রাকৃতিক সম্পদের উত্তোলন, সংরক্ষণ, পরিবহন ও ব্যবহারের লক্ষ্যে টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের বিষয়ে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানাবেন। সভায় প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় ও বেআইনী ব্যবহাররোধে বিদ্যমান আইনের আধুনিকায়ন, নির্বিচারে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ, উৎপাদন ও সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্তকরণ বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ও কর্মকৌশল প্রণয়ন করা হবে।
প্রসঙ্গত জি-৭৭ ভুক্ত দেশগুলোতে প্রাকৃতিক সম্পদের বিশাল ভান্ডার থাকলেও শিল্পায়নে এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক সম্পদের বেআইনী ব্যবহারের ফলে জনগণ এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রের তুলনায় জি-৭৭ ভুক্ত দেশগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পণ্য বৈচিত্রকরণ, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আয় বৃদ্ধিতে পিছিয়ে রয়েছে। আন্তর্জাতিক এ ফোরামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্রুপ-৭৭ ভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদ সুরক্ষা এবং শিল্পখাতে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহায়তার নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে। পাশাপাশি সদস্য দেশগুলোতে প্রযুুক্তি হস্তান্তর ও শিল্প কারখানা স্থানান্তরের সুযোগ বাড়বে। সভার অভিজ্ঞতার আলোকে টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশে বিদ্যমান প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের কার্যকর কর্মসূচি প্রণয়ন ও উদ্যোক্তা সেবা বহুমুখীকরণের কৌশল নির্ধারণ সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।