ডোমারে বিদ্যুৎ অফিসের ড্রাইভারের গলাকাটা লাশ উদ্ধার,জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক ৪
https://www.obolokon24.com/2018/09/marder.html
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বিদ্যুৎ অফিসের গাড়ী চালক আবু সাঈদ ওরফে স্বাধীন ইসলামকে(৩৫) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় আজ বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছে গাড়ী চালকের মা সুলতানা রাজিয়া। মামলায় হত্যাকারী হিসাবে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামী করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে।
এরা হলো ডোমার বিদ্যুৎ অফিসের অস্থায়ী বিল বিতরনকারী ডোমার পৌরসভার ডাঙ্গাপাড়া মহল্লার রফিকুল ইসলামের ছেলে অর্পনুল ইসলাম অর্পন (২৫) ডোমার ছোট রাউতা মহল্লার মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মুন্না (২২), ডোমার সবুজপাড়া মহল্লার লুৎফর রহমানের ছেলে সাকিল (২১) ও তরুন রায়ের ছেলে গৌতম রায় (২০)। হত্যার শিকার উক্ত গাড়ী চালক রংপুর শহরের কলেজপাড়া দর্শনা মহল্লার মৃত আব্দুল জলিল ওরফে বাবু ইসলামের ছেলে। স্বাধীনের গলাকাটা মরদেহ গতকাল মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের উপর তলার একটি মেসের তার শয়নকক্ষ থেকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
আবু সাঈদ ওরফে স্বাধীন ইসলাম দীর্ঘ ৫ বছর ধরে মাষ্টাররোলে ডোমার উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসের গাড়ী চালক হিসাবে কর্মরত ছিল।
ডোমার বিদ্যুৎ বিতরন বিভাগের নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী লিঃ (নেসকো) এর নিবার্হী প্রকৌশলী সাইফুল মন্ডল জানান গাড়ী চালক স্বাধীন উপজেলার আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের দ্বিতীয় তলার মেসের একটি কক্ষে সে ভাড়া থাকতো। সোমবার দায়িত্ব পালন শেষে রাতে সে মেসে চলে যায়। মঙ্গলবার সকালে সময় মতো অফিসে না আসায় তার মোবাইলে কল দেয়া হয়। কিন্তু তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। দিনভর তার কোন সন্ধ্যান না পাওয়ায় বিকালে তার খোঁজে মেসে অফিসের লোকদের পাঠানো হয়। অফিসের লোকজন তার কক্ষের সামনে তার স্যান্ডেল দেখতে পেলেও শয়নকক্ষের দরজায় তালা ঝুলতে দেখতে পায় । বিষয়টি ডোমার থানা পুলিশে জানালে পুলিশ এসে শয়ন কক্ষের একটি জানালার কপাট ভেঙ্গে ফেলে । এ সময় গলায় কাপড় পেচানো রক্তাত্ব মৃতদেহ বিছানায় পরে থাকতে দেখা যায়। দেখা যায় দেয়ালে রক্তের ছাপ।এদিকে তার হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ভিড় জমায় বাড়ীটির সামনে।
একাধিক সুত্র জানায় হত্যার শিকার গাড়ী চালক স্বাধীন মাদকাসক্ত ছিল। পুলিশ যাদের জিজ্ঞাসাবাদে জন্য আটক করেছে তারাও মাদকাসক্ত। তারা সকলেই স্বাধীনের মেসের রুমে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা দিতো।
ডোমার থানার ওসি মোকছেদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এটি পরিকল্পিত হত্যা কান্ড। গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে বুধবার দুপুরে জেলার মর্গে ময়না তদন্ত করা হয়। আটককৃতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এতে কিছু আলামত পাওয়া যাচ্ছে। #