কিশোরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের ১কোটি ১৬ লাখ টাকা হরিলুট

মোঃ শামীম হোসেন বাবু, কিশোরগঞ্জ,(নীলফামারী)

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মেরামত ও বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন কাজের  ১ কোটি ১৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা হরিলুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে রাজস্ব বাজেটের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বিদ্যালয় মেরামতের জন্য ৫৫ লাখ ৩৪ হাজার ৫শত টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এসব বড় মেরামতের মধ্যে রয়েছে ২ টি বিদ্যালয়ে  ১ লাখ ৫০ হাজার করে ৩ লাখ টাকা, মাঝারী মেরামত ১ লাখ টাকা করে ৩৫ টি বিদ্যালয়ে ৩৫ লাখ টাকা, ছোট মেরামত ৭ টি বিদ্যালয়ে ৮৪ হাজার করে  ৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, ক্ষুদ্র মেরামত ১৫৩ টি বিদ্যালয়ে ৫হাজার করে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৫শত টাকা, এবং টয়লেট মেরামতের জন্য ২৭ টি বিদ্যালয়ে ১৯ হাজার ৫ শত টাকা করে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা।
এসব বিদ্যালয়ের মেরামত কাজ না করে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসান ও শিক্ষক নেতারা বরাদ্দকৃত টাকা ভাগবাটোয়ারা করে পকেটস্থ করেন। মজার বিষয় হচ্ছে ঝুকিপুর্ন পুরাতন বিদ্যালয় গুলো মেরামতের জন্য তালিকা ভুক্ত না করে ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরের নির্মিত ভবন ও মেরামতের আদৌ প্রয়োজন নেই এসব বিদ্যালয় মেরামতের আওতায় এনে বরাদ্দকৃত টাকা লুটপাট করা হয়।
চাঁদখানা ১ নম্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভেড়ভেড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর দুরাকুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ১০ থেকে ১৫ টি বিদ্যালয় পরিদর্শন করে কাজের কাজ কিছুই পাওয়া যায়নি। ১লাখ করে বরাদ্দকৃত বিদ্যালয়গুলো শুধু চুনকাম করে বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছে অসাধু কর্মকর্তা   ও শিক্ষক নেতারা। ২০০৬- ২০০৭ অর্থ বছরে নির্মিত ভবনের মেরামতের বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদখানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন বেগম জানান, বিদ্যালয় মেরামতের কাজের বিষয়ে স্যার আমাকে সাংবাদিকদের  সাথে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। বিদ্যালয় সংলগ্ন বাড়ি মনজের আলী, একাব্বর আলী, লিয়াকত হোসেন , ভুটটু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বড় ও মাঝারী মেরামত কাজের বিদ্যালয় গুলো শুধু চুনকাম করে ও ক্ষুদ্র মেরামত কাজের বিদ্যালয়গুলো কোন প্রকার কাজ না করে বরাদ্দের টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও শিক্ষক নেতারা।
এদিকে বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনার ১৫৩ টি বিদ্যালয়ের ৬১ লাখ ২০ হাজার টাকার কাজ  নামে মাত্র কয়েক সেট বই ও কোন কোন বিদ্যালয়ে হারমনিয়াম দিয়ে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ৪০ হাজার টাকার উন্নয়ন পরিকল্পনার সমাপ্তি ঘটানো হয়েছে।
পুর্ব দলিরাম কাকেয়ার পাড় এবং সয়রাগন্ধ্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়। প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রধান শিক্ষকদের বাধ্য করেন হারমনিয়াম নিতে । কিন্তু এসব বিদ্যালয়ে হারমনিয়াম বাজানোর কোন শিক্ষক নেই। সয়রাগন্ধ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই বলেন , হারমনিয়ামগুলো অত্যান্ত নি¤œমানের , এক সপ্তাহের মাথায় বিকল হয়েছে। এ হারমনিয়াম বিদ্যালয়ের কোন কাজে আসছেনা ।
 উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা এস এম মেহেদী হাস ানের কাছে  বিদ্যালয় মেরামত ও উন্নয়ন কাজের টাকা লুটপাঠ হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন কোন বিদ্যালয়ের কাজ হয়নি তা আমার অফিস সহকারী বিনয় বাবুর কাছে লিখে দিয়ে যান।পরে আমি তা তদন্ত করে  দেখব।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসান তার মতামতে বলেন কিছু শিক্ষক নেতার চাপে কয়েকটি বিদ্যালয়ের কাছ করতে সমস্যা হয়েছে। কাজ না করে টাকা লুটপাটের বিষয় তিনি অস্বিকার করেন।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 1085564177230848949

অনুসরণ করুন

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item