নীলফামারীতে চিতা বাঘের মৃত্যু
নীলফামারী প্রতিনিধি॥
নীলফামারীর একটি মুরগীর খামারে খাদ্যের খোঁজে এসে বৈদ্যুতিক তারে পিষ্ট হয়ে একটি চিতা বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এলাকাবাসী বলছে আরও একটি চিতা বাঘ লোকালয়ে লুকিয়ে রয়েছে। ফলে আতংকে ভুগছে গ্রামবাসী। আজ শুক্রবার(১৮ মার্চ) নীলফামারী জেলা সদরের চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের দলপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে বাঘটি উদ্ধার করে নীলসাগর রেখেছেন বন বিভাগের কর্মকর্তা। এদিকে লোকালয়ে বাঘের দেখা মিলার খবরে দূরদূরান্ত থেকে কয়েক হাজার হাজার মানুষ ওই গ্রামে ভীড় জমাচ্ছে। লোকালয়ে থাকা জীবিত অপর চিতা বাঘটি উদ্ধারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে রংপুর বনবিভাগের কর্মকর্তাসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ। তবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপর চিতা বাঘটির সন্ধান মেলেনি।স্থানীয় ও বনবিভাগ জানায়, দলপাড়া গ্রামের বাঁশ ঝাড় ও ভুট্টা ক্ষেত সংলগ্ন জমিতে একটি মুরগির খামার রয়েছে ওলিয়ার রহমানের। বিগত দেড় মাস যাবত ওই খামারে প্রতিরাতেই ১০ থেকে ১৫ টি করে মুরগি মৃত্যু ঘটছে বন্যপ্রাণীর আক্রমনে। বন্যপ্রাণীর হাত থেকে মুরগি রক্ষায় রাতের বেলায় খামারটির চারিদিক বৈদ্যুতিক তারে ঘিরে রাখেন খামার মালিক ওলিয়ার রহমান। শুক্রবার রাতে ৩ টার দিকে ওই খামারে দু’টি চিতা বাঘ আক্রমণ চালাতে গেলে বৈদ্যুতিক তারে আটকে গিয়ে একটি চিতাবাঘের মৃত্যু হলে অপর চিতাবাঘটি পালিয়ে যায়।অনেকে বলছেন ঘটনাস্থল থেকে ভারত সীমান্তের দুরত্ব প্রায় ৫৫ কিলোমিটার। ধারনা করা হচ্ছে ভারত সীমান্ত হয়ে চিতাবাঘ পথভুলে বাংলাদেশে চলে এসেছে। জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোনায়েম খান বলেন, এটি একটি লেপার্ড। ভারতীয় হতে পারে। নীলফামারী সদর থানার ওসি আব্দুর রউফ বলেন, এটি বন বিভাগের বিষয়। তাঁরা কী পদক্ষেপ নেবেন, আমাদের জানালে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার জানান,মৃত চিতা বাঘটি উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত চিতা বাঘটি একটি ভুট্টাক্ষেতে রয়েছে বলে এলাকাবাসী দাবি করেছে। সেখানে মাইকে প্রচার করে বলেছি স্থানীয়দের নিরাপদে সরে যেতে। #