নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ৪ মৃত্যু পরিবারকে চাকুরি দেয়ার আশ্বাস রেলমন্ত্রীর


স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥
নীলফামারীর সদর উপজেলায় ট্রেন কাটা পড়ে নিহত চারজনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন রেলমন্ত্রী এ্যাডঃ নুরুল ইসলাম সুজন।  শনিবার(১১ ডিসেম্বর/২০২১) দুপুরে নীলফামারীর কুন্দপুকুর ইউনিয়নের মনসাপাড়া ও বউবাজার গ্রামে এসে নিহতদের দুই পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এ সময় তিনি ওই পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও নিহত তিন শিশুর বাবা রেজওয়ান ও সাহসী যুবক শামীমের স্ত্রী সুমাইয়া আকতারকে রেলে চাকুরীর আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

পরে বউবাজারে সংক্ষিপ্ত শোকসভায় বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ রেল মন্ত্রনালয়ের আমরা সবাই শোকাহত। এখানে আমার বলার ভাষা নেই। এ ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। অবুঝ তিন শিশুর মৃত্যু ও তাদের বাঁচাতে সালমান ফারাসি শামীম হোসেন নামের যে যুবকটি এগিয়ে গিয়ে নিজের জীবন দিয়েছে, আমি তাকে শ্রদ্ধা জানাই। তিনি বলেন, লেভেল ক্রসিং ও ব্রিজ নির্মাণসহ রেলের ধারে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে বসবাস যোগ্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। মন্ত্রী বলেন, নতুন যেসব রেলপথ হচ্ছে সেখানে আন্ডারপাস ওভারপাস করতেছি কিন্তু যেগুলো পুরোনো সেগুলোতে সম্ভব নয়। এ কারণে গ্রামে গ্রামে রেললাইনের যে এলাকায় ক্রসিং দরকার সেগুলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় করবে এ নিয়ে স্থানীয় সরকারের সাথে আমরা কথা বলছি। 

এ সময় নিহত তিন সন্তান হারানো পিতা রিক্সাচালক রেজওয়ান হোসেনকে নগদ ৫০ হাজার এবং সালমান ফারাসি শামীম হোসেনের স্ত্রীকে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন মন্ত্রী তার ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে। পাশাপাশি নিহত তিন শিশুর বাবা রেজওয়ান ও সাহসী যুবক শামীমের স্ত্রী সুমাইয়া আকতারকে রেলে চাকুরীর আশ্বাস দেন।

এ ছাড়া ওই শোক সভায় সরকারের ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়ের পক্ষে নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম নিহত তিন সন্তানের পিতাকে ২৫ হাজার ও সালমান ফারাসি শামীম হোসেনের স্ত্রীকে ২০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমি ঢাকায় ফিরে নিহত পরিবারদের আরও কিভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। 

এ সময় উপস্থিত ছিল নীলফামারী পৌরসভা মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোক্তারুজ্জামান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান বুলেট, কুন্দপুকুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান চৌধুরী সহ রেলের কর্মকর্তাগণ।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে বউবাজার এলাকায় চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী খুলনা মেইল ট্রেনে কাটা পড়ে একই পরিবারের তিন শিশুসহ মারা যান চারজন। ওই স্থানে রেলব্রীজের সংস্কার কাজের জন্য ইট নিয়ে একটি ট্রাক্টর এলে সেটি দেখতে যায় শিশুরা। এ সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী রকেট মেইল ট্রেন তাদের সামনা সামনি চলে আসে। পরে প্রতিবেশী শামীম ওই তিন ভাই-বোনকে বাঁচাতে গেলে তিনিও ট্রেনে কাটা পড়েন। নিহতরা বউবাজার গ্রামের রেজওয়ানের বড় মেয়ে লিমা আক্তার (৮), মেজ মেয়ে শিমু আক্তার (৪) ও ছোট ছেলে মমিনুর রহমান (৩) এবং একই গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে সালমান ফারাসি শামীম হোসেন (৩০)। # 


পুরোনো সংবাদ

হাইলাইটস 6046956835033092939

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item