নদী একটি জাতীয় সম্পদ ,নদী রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব -বেলার নিবার্হী পরিচালক


আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টার ঃ 
“চলো নদীর কথা শুনি” প্রকৃতি -পরিবেশ-পরিবেশ রক্ষায়  নীলফামারীর ডোমার উপজেলার কলমদার-বুড়িখোড়া নদীর তীরে পারঘাট আলোর বাজারে আজ বৃহস্পতিবার(১৮ই নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় (তিনঘন্টা ব্যাপী)  নীলফামারী জেলা নদী সংলাপ-২০২১  অনুষ্টিত হয়েছে ।বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির  (বেলা) আয়োজনে এ নদী সংলাপে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির  (বেলা) নিবার্হী পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাচান ,বিএমডিএর নিবার্হী পরিচালক হারুন অর রশীদ,রিভাইন পিপলের নিবার্হী পরিচালক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ডিন  অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ ,ডোমার উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম,নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আমিনুল রহমান, রিভাইন পিপলের ডোমার উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখ ।

এ নদী সংলাপে স্থানীয় সাংবাদিক রায়হান সবুক্তগীন অনিকেত বলেন,দেওনাই নদীর বেড ডিসিআর কেটে দেওয়া হচ্ছে । শালকী নদীর চারটি ব্রীজের নিচে উচু করে বেড নিমার্ন করায় নদীটি চৌবাচ্চায় পরিনত হচ্ছে ।ব্রীজ নির্মানের সময় বেড নিচু করে নিমার্ন করা যায় কিনা সে দিকে দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ করেন ।

আনোয়ার হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী বলেন,পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী খনন করে আমার জমিতে বালু রেখেছে প্রায় দেড় বছর ধরে । এতে আমি ফসল উৎপাদন করতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছি ।

বিএমডিএর নিবার্হী পরিচালক হারুন অর রশীদ বলেন,নীলফামারীতে প্রায় ৫৯৮ কি,মি নদী আছে ।মরা তিস্তাকে খনন করে আমরা নদীটিকে জীবিত করেছি ।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির  (বেলা) নিবার্হী পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাচান বলেন,নদী একটি জাতীয় সম্পদ ।নদী রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব ।পানি উন্নয়ন বোর্ড সরকারের মাধ্যমে যে ড্রেজিং প্রকল্প চলছে তা নদীর পানি প্রবাহ ঠিক ফিরেয়ে আনতে পারছেনা ।কিছু প্রবাহ উদ্ধার হচ্ছে কিন্ত নদী পরিপূর্ন ভাবে ফিরে আসার কাজটা হচ্ছে না ।এখানে কিছু কিছু জায়গায় দূষন দেখলাম,অনেক জায়গায় দেখলাম নদী দখল হয়ে যাচ্ছে, পানির প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে দখলের মাত্রা দিন দিন বেড়ে যাচেছ ।আর একটা জিনিস সকলের সাথে আলোচনা করে বুঝলাম,সরকারী সংস্থাগুলো নদীউদ্ধারের যে কার্যক্রম চলছে ,না জনমতের প্রতিফলন ঘটছে ,না বিভিন্ন সংস্থাগুলোর নিজেদের মধ্যে কোন সমন্বয় আছে ।যদি আইনের উদ্যোগের কথাগুলো বলেন বলবো যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো হচ্ছে,সেখানে আইনে থাকা সত্তেও জনগনের মতামত প্রতিফলন হচ্ছে না ।দুষন ও দখল থেকে এই এলাকার নদীগুলা রক্ষা একটা মাষ্টার প্লানের আলোকে ছাড়া যে ফলটা চাচ্ছি ,তা পাব না ।নদীগুলি  সৃষ্টি হওয়া একটি দেশে ,নদীগুলি মরে যাওয়া মানে দেশটিই মরে যাওয়া হবে ।উত্তরাঞ্চলে একটা মরুকরন শুরু হবে ।পানির অভাব শুরু হবে ।আমরা যে বলি ভারত পানি দেয় না বলে আমরা পানি পাইনা ।কিন্ত নিজের নদীগুলো রক্ষায় সে রকম সচেষ্ট নই ।তৃতীয় যে বড় প্রভাব পড়বে ,যখন জলবায়ু পরিবতর্ন হবে ,উপকুলের পাশে জেলা গুলো সমুদ্রগর্ভে চলে যাবে,উপকুলীয় নদীগুলো লবনাক্ত হয়ে পড়বে,তাহলে মধ্যাঞ্চলে ও উত্তরাঞ্চলে নদীর উপর চাপ পড়বে ।এখন যদি নদীগুলাকে মেরে ফেলি ,তাহলে আজ থেকে ২০ বছর পরে যখন লবনাক্ত বেড়ে যাবে দেশের অন্যান্য জেলায় ,তখন পানি পাব কোথায় ? তখন পুরো বাংলাদেশ একটা  পানি সংকটে পড়বে ।


পুরোনো সংবাদ

হাইলাইটস 8499019993387120050

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item