নীলফামারীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরা কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন না


নির্ণয়,নীলফামারী॥
স্থানীয় পর্যায়ের যে কোনও নির্বাচনে একবার বিদ্রোহী প্রার্থী হলে ওই নেতাকে আর কখনই নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে না। শুধু তাই নই, ওই বিদ্রোহী প্রার্থীকে আজীবনের জন্য দলীয় পদ থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১১ নবেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে নীলফামারী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের এমন কঠোর সিদ্ধান্ত এবার কাজে আসবে বলে মনে করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

এ প্রসঙ্গে আজ শুক্রবার(৮ অক্টোবর/২০২১) নীলফামারী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান জানান, প্রায় প্রতিবারই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীকে ঠেকাতে হিমশিম খেতে হয়। এবার ১১টি ইউনিয়ন থেকে ৫৩ জন দলীয় নেতা কর্মী  মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তাদের নাম কেন্দ্রে প্রেরণের পূর্বে প্রতিটি ইউনিয়নে বর্ধিত সভা করা হয়। ওয়াদুদ বলেন, নীলফামারী সদর আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর ভাইয়ের দিক নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি ইউনিয়নের বর্ধিত সভায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছে প্রশ্ন তুলে ধরা হয় মনোনয়ন বঞ্চিত হলে তারা কেউ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন কিনা। সকলেই এক বাক্যে “ না” বলেছেন।  এরপর মনোনয়ন প্রত্যাশিদের সিদ্ধান্তেই  তারা একে একে পৃথক পৃথক ভাবে বর্ধিত সভায় মুচলেকা এবং শপথ গ্রহন করে ঘোষনা দেন, তারা দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন না। এরপর মনোনয়ন প্রত্যাশিদের তালিকা কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়। ওয়াদুদ মনে করেন বিগত সময়ে স্থানীয় নির্বাচনে যে বিদ্রোহী প্রার্থী সৃস্টি হতো এবার তা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান জানান, আগামী ১১ নবেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করে প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। আমরা ১১ ইউনিয়নের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৫৩ জনের নামের তালিকা কেন্দ্রে প্রেরণ করি। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে নীলফামারী সদরের ১১টি ইউনিয়নের নৌকা প্রতিকের ১১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তারা হলেন চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নে প্রদীপ কুমার রায়, গোড়গ্রাম ইউনিয়নে মো. মাহবুব জর্জ, পলাশবাড়ী ইউনিয়নে মো. মমতাজ আলী প্রামানিক, রামনগর ইউনিয়নে মো. মিজানুর রহমান, কচুকাটা ইউনিয়নে মো. তছলিম উদ্দিন, পঞ্চপুকুর ইউনিয়নে নুরল আমিন সরকার, সোনারায় ইউনিয়নে মো. হামিদুল ইসলাম, সংগলশী ইউনিয়নে কাজী মোস্তাফিজার রহমান, চড়াইখোলা ইউনিয়নে মো. মাহফুজার রহমান শাহ, চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নে মো. কামরুজ্জামান সরকার ও লক্ষীচাপ ইউনিয়নে মো. গোলাম মোস্তফা। আবুজার রহমান জানান, আমি আশা করি এবার দলীয় কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছে না।

      এদিকে দেখা যায়, প্রকাশিত তালিকায় দলটির ইউনিয়ন গুলোর মধ্যে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান এমন দুইজন এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি। তাদের মধ্যে পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন আমি গতবারের নৌকা প্রতিকের রানিং ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে এবারো দলীয় মনোনয়ন পাবো বলে নিশ্চিত ছিলাম। সেখানে আমি পেলাম না। এ ক্ষেত্রে আমি দলে থেকে নিজেকে এখন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মনে করছিনা। তবে দলের বাহিরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে দোষ থাকবেনা বলে উল্লেখ করেন। হাবিবুর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও পঞ্চপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পদে রয়েছেন।

মনোনয়ন বঞ্চিত গোড়গ্রাম ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম এ ব্যাপারে বলেন, আমি গতবারে নৌকা প্রতিকের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান। সে হিসাবে এবারো মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছি। বর্ধিত সভায় আমি নিজেও মুচলেকা ও শপথ পাঠ করে ঘোষনা দিয়েছিলাম মনোনয়ন না পেলে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হবোনা। তাই আমি দলের ভেতরে থেকে বিদ্রোহী হচ্ছিনা। #


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4678248521517046763

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item