নীলফামারীতে ধর্ষণের শিকার গৃহবধু মামলা করে হুমকির মুখে
নির্ণয়,নীলফামারী॥ নীলফামারীতে ধর্ষণ এবং নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করে হুমকির মুখে পড়েছেন নির্যাতিতা এক গৃহবধু। মামলার আসামীদের হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন এক সংবাদ সম্মেলনে।
আজ বুধবার(১৩ অক্টোবর/২০২১) বেলা তিনটার দিকে জেলা শহরের মিডিয়া হাউজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই গৃহবধু অভিযোগ করে বলেন,‘জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের আকাশকুড়ি গ্রামের মো. তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মনিরুজ্জামান মিঠুরসঙ্গে (৩৮) ২০০৫ সালের ৮ জুলাই বিয়ে হয় আমার। স্বামী একটু অ্যাবনরমাল (মানসিক ভারসাম্যহীন) হওয়ার দেবর মো. সুমন ইসলামের (৩২) কুনজর পড়ে আমার ওপর। সে নীলফামারীর শহরের সৈকত ফার্মেসি নামে একটি ওষুধের দোকানের মালিক হওয়ায় পরিবারের প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়ে উঠে ক্রমে। তার এমন কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় পরিবারে প্রভাব খাটিয়ে কৌশলে শ্বশুর, শাশুরি এমনকি আমার স্বামীকে দিয়েও যৌতুকসহ নানা অছিলায় নির্যাতনের বাড়িয়ে দেন। এমন অপকৌশলে গত কোরবাণী ঈদের দিন (চলতি বছরের ২১ জুলাই) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘরে একা পেয়ে আমাকে ধর্ষন করে সুমন। বিষয়টি স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুরীকে জানানোর সঙ্গে অমানবিক নির্যাতনের পর ঘরে আটকিয়ে রাখে আমাকে। পরে প্রতিবেশী এবং আমার বাবার পরিবারের সদস্যরা গিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর আদালে ধর্ষণ এবং নির্যাতনের অভিযোগে পাঁচ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করি। ওই মামলা দায়েরের পর থেকে আসামী সুমন ইসলাম এবং তার লোকজন মামলার স্বাক্ষী, আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্নভাবে হুমকী প্রদান করছেন। তাদের হুমকীতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। তিনি জানান, ওই ঘটনার পর থেকে নীলফামারী শহরের শান্তিনগরে বাবার বাড়ীতে অবস্থান করছেন তিনি। ১৩ বছরের মেয়ে এবং ১০ বছর বয়সের চেলের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দিচ্ছেন না তাকে। ওষুধ ব্যবসায়ী সুমন টাকার জোরে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে মামলা প্রত্যাহারের চাপ সৃষ্টি করছেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওই গৃহবধুর বাবা নূর হোসেন বাবু, বাদিনীর স্বাক্ষী মো. ফারুক হোসেন।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হলে মো. সুমন ইসলাম সকল অভিযোগ কৌশলে এড়িয়ে যান। #