নীলফামারী শহরে সওজের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান
নির্ণয়,নীলফামারী॥ নীলফামারী জেলা শহরের কালিতলা থেকে গাছবাড়ি সড়ক ও ফুলতলা এবং ঢেলাপীর অংশের প্রায় সাড়ে ১৫ কিলোমিটার সড়কের দুই ধারে অধিগ্রহণকৃত জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। সোমবার(৪ অক্টোবর/২০২১) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলে। এতে নেতৃত্ব দেন সড়ক বিভাগের আইন ও ভুমি কর্মকর্তা(উপ-সচিব) কামরুজ্জামান।
সড়ক বিভাগ জানায়, সৈয়দপুর থেকে নীলফামারী এবং নীলফামারী থেকে ডোমার পর্যন্ত উচ্ছেদ কার্যক্রম চলবে। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত দুইটি ভেকু মেশিন দিয়ে সাড়ে ১৫কিলোমিটারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
উচ্ছেদের সময় সরেজমিনে দেখা যায়, জমির মালিককরা তাদের সেই জায়গা জমি না ছেড়ে সেখানে একের পর এক অবকাঠামো, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মান করে বসে। যেখানে সড়ক থেকে ৫ ফুট দূরত্ব রাখার কথা সেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে টিন সেড ও ছাউনি দিয়ে রেখেছে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কে শোনে কার কথা। নোটিশ ও মাইকিং করার পরেও তারা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি। অবশেষে ২টি ভেকু মেশিন দিয়ে উচ্ছেদ শুরু হলে একে একে ভেঙে পড়ে স্থাপনাগুলো। উচ্ছেদ অভিযান দেখতে শতশত উৎসুখ জনতা ভিড় করেন। এ সময় নীলফামারী-ডোমার সড়কের তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
উচ্ছেদের সময়ে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল করিম, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ, সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ-উন নবী, র্যাব-১৩ নীলফামারী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন সদস্যরা।
কর্মকর্তারা বলছেন, উচ্ছেদ পরিচালনার জন্য আগেই চিঠি দিয়ে অবগত করা হয়েছে সংশ্লিষ্ঠদের। এরমধ্যেও যারা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেনি তাদের স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
সড়ক বিভাগ নীলফামারীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, সৈয়দপুর থেকে ডোমার পর্যন্ত সড়ক সম্প্রসারণ ও মজবুতিকরণ প্রকল্পের আওতায় জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অধিগ্রহণকৃত জমিতে যারা অবৈধ স্থাপনা করেছেন সেসব উচ্ছেদ করা হয়েছে। এই কার্যক্রম আরও দুইদিন চলবে। #