সরকারী প্রকল্প বাস্তবায়নে তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড না থাকায় বাড়ছে অনিয়ম দুর্নীতি


মোঃ শামীম হোসেন ,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ
একটি রাষ্টের গণতান্তিক ব্যবস্থাকে সুসংহত করার লক্ষ্যে জনগনের তথ্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা,রাষ্ট্রীয় অর্থ ও সম্পদ ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনয়ন ,দুর্নীতি হ্রাসকরন রোধ কল্পে  ২০০৯ সালে তথ্য অথিকার আইন প্রতিষ্টা করে সরকার।

 আইনে বলা হয় সরকারী কোন কাজ বাস্তবায়নের আগে প্রকল্প এলাকায় জনসাধারনের অবগতির জন্য তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর , প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়সহ অন্যান্য উন্নয়নমুলক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তপক্ষ কাজ বাস্তবায়নের আগে তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড ছাড়াই কাজ বাস্তবায়ন করছে। ফলে একদিকে সরকারী  কাজে হচ্ছে অনিয়ম দুর্নীতি অপর দিকে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড সর্ম্পকে স্থানীয় জনগন জানতে পারছেনা। ফলে জনগনের কাছে সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। 


গত ২৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদের হলরুমে  আন্তজাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালনের সময় বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা সরকারী প্রকল্পে তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড না লাগানোর বিষয়টি তুলে ধরেন। এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল বলেন, বর্তমান সরকার জনবান্ধব সরকার। এই সরকারের আমলে বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হচ্ছে। সরকারী বরাদ্দের যে কোন কাজ বাস্তবায়নের আগে প্রকল্প এলাকায় অব্যশই তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড লাগানোর নির্দেশনা রয়েছে। অথচ কেউ তা মানছেননা। এতে করে সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। 

সম্প্রতি উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের অর্থায়নে নির্মিত কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর দুরাকুটি বসুনিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন নির্মান কাজ করতে গিয়ে বাজে বিপত্তি। বিল্ডিংয়ের বেজ ঢালাইয়ের কাজ করার সময় ঠিকাদার নিম্নমানের বালু,মাটি মিশ্রিত খোয়া দিয়ে কাজ ঢালাই করার সময় এলাকাবাসী কাজ করতে বাঁধা প্রদান করেন। এলাকাবাসীর দাবী সরকারী প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের আগে তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড লাগিয়ে কাজ করতে হবে কিন্তু কাজের ঠিকাদার তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড না লাগিয়ে কাজ শুরু করতে চায়। পরবতীর্তে উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান প্রকল্প এলাকায় গিয়ে তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড লাগানো না পেয়ে  এবং নিম্নমানের মাটি মিশ্রিত খোয়া  পানি দিয়ে নেট করে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্টান সরকারী নির্দেশ অমান্য করে এখোনো প্রকল্প এলাকায় সাইনবোর্ড স্থাপন করেনি। 

উপজেলা প্রকৌশল অফিস সুত্রে জানা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গ্রামীন সড়ক পাকা করন, ব্রীজ, কার্লভাট ও অন্যন্য উন্নয়নমুলক প্রকল্প মিলে মোট ৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুশা ক্যানেলের পার হতে ভিন্নজগৎ পর্যন্ত সড়ক নির্মান কাজ, উপজেলা পরিষদের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর‌্যাল স্থাপন, চাঁদখানা চড়কবন , মুশা সরকারী, উত্তর দুরাকুটি বসুনিয়াপাড়া, গাড়াগ্রাম উত্তরপাড়া,ধাইজানপাড়া, নিতাই বাড়ি মধুপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন নির্মান কাজ চলমান থাকলেও  তথ্য সংবলিত কোন সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়নি।  অন্যদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের আওতায় টিআর,কাবিখা,কাবিটা প্রকল্পের কোটি কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন হলেও কোথাও কোন তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড চোখে পড়েনি। 

উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি এ উপজেলায় কয়েকদিন আগে যোগদান করেছি। এর আগে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি কি করেছিলেন  এ বিষয়ে তাঁকে জানাননি কেন। তারপরও আপনি যেহুতু বিষয়টি বললেন এ বিষয়ে আমি প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করব। 

এ বিষয়ে  উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা  আবু হাসনাত সরকারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার দপ্তর থেকে সরকারী বরাদ্দে যে সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে সবগুলো প্রকল্পে তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে। প্রকল্প এলাকায় গিয়ে সাইনবোর্ড চোখে পড়েনি কেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এতদিনে হয়ত কেউ নিয়ে গেছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবীরুল ইসলাম বলেন, সরকারী অর্থে বাস্তবায়িত প্রকল্প সমুহের কাজ বাস্তবায়নের আগে অব্যশই তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে কাজ বাস্তবায়ন করতে হবে। আমি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করব।


পুরোনো সংবাদ

হাইলাইটস 2843853481869186712

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item