সৈয়দপুর পৌর মেয়রের নামে প্রতারণার মামলা এলাকায় তোলপাড়


নির্ণয়,নীলফামারী॥
বহুতল ভবন নির্মানে লিফট স্থাপনের নক্সা অনুমোদনে নিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহানের নামে আদালতে একটি প্রতারণার মামলা দায়েরের ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার এলাকায় তোলপাড় সৃস্টি করেছে। আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর/২০২১) নীলফামারী চীফ জুডিসিয়াল আদালতের সৈয়দপুর আমলি আদালতে মামলাটি করেন সৈয়দপুর শহরের বাঙ্গালিপুর নিজপাড়ার বাসিন্দা গাউসুল আযম ফারুকী। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে নীলফামারী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

তবে মামলাটি হয়রানী মুলক ও মিথ্যা বানোয়াট বলে সৈয়দপুর পৌর মেয়র সহ সকল কাউন্সিলার ও পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তাগন মন্তব্য করেন। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নির্মানাধীণ ছয়তলা ভবনের লিফট স্থাপনের নকশা অনুমোদনের জন্য পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহানের দ্বারস্থ হন গাউসুল আযম ফারুকী। এ সময় মেয়র তাঁর কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর এবি ব্যাংক লিমিটেড সৈয়দপুর শাখায় নিজের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সেই টাকা দেন জমা দেন মামলার বাদী। মেয়রের ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপক হাসানুজ্জামান আজম ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেন। এরপরও নকশা অনুমোদিত না হওয়ায় ফারুকী আবার চলতি বছরের ২২ আগস্ট মেয়রের কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। এ সময় মেয়র নকশা অনুমোদনের জন্য আবার এক লাখ টাকা দাবি করেন। চলতি মাসের ১৬ সেপ্টেম্বর ফারুকী মেয়রের কাছে নকশা অনুমোদনের বিষয় জানতে চাইলে আগের এক লাখ টাকা গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মেয়রের নামে প্রতারণার অভিযোগে সৈয়দপুর আমলি আদালতে মামলাটি করেন গাউসুল আযম ফারুকী। মামলায় দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে মেয়রের ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপক হাসানুজ্জামান আজমকে।

সৈয়দপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. আবদুস সেলিম বলেন, গাউসুল আযম ফারুকী এক মাস আগে লিফটের নকশা অনুমোদনের জন্য কাগজপত্র দাখিল করেছেন। তা ছাড়া তাঁর ভবনের জমির জটিলতা বিষয়ে উচ্চ আদালতে মামলা ছিল। আগের মেয়রের বিরুদ্ধে তিনি এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলা করেছিলেন। বর্তমানে তার নতুন আবেদনটি তদন্তাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে এবারই আমি প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। বিগত বছরে আমাকে নকশা অনুমোদনের জন্য টাকা দেওয়ার বিষয়টি হাস্যকর। মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি ও সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে মানহানী মামলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।#


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8783568682367390367

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item