কিশোরগঞ্জে আউশ ধান কাঁটা মাড়াই শুরু, দাম ও ফলন দুটোই ভাল


মোঃ শামীম হোসেন বাবু.কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ
  নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আউশের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের পাশাপাশি খরের মুল্য বেশি পাওয়ায় সোনালী হাঁিস ফুটেছে কৃষকের মুখে। ফলে আশিন কার্তিক মাসে যেখানে কৃষি শ্রমিকরা অলস সময় পার করত। সেখানে  ধান কাঁটায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ কৃষানীরা। 

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৭৫০ একর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ২৮৫ একর এবং  উপসি জাতের ধান চাষ হয়েছে ৪৬৫ একর জমিতে। 


শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি, নিতাই ইউনিয়নের পানিয়াল পুকুর,পুটিমারী ইউনিয়নের উত্তর ভেড়ভেড়ী,কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মুশা পাকার মাথা, ছকির হাটসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে আউশ ধান কাঁটা শুরু হয়েছে। কৃষি শ্রমিকরা ধান কাঁটা মাড়াইয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। যেন দম ফেলার ফুসরুত পাচ্ছেনা তারা। বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের কৃষক ভুটুট মিয়া তাঁর দুই বিঘা জমির ধান কাঁটা শুরু করেছেন। জমিতে গিয়ে দেখা যায় বেশ কয়েকজন শ্রমিক ধান কাটছে আবার কেউ কেউ ধান জড়ো করে জমিতে মাড়াইয়ের কাছ করছেন। এসময় কৃষক ভুটটু মিয়া বলেন, আমি এবার দুইবিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। ধাঁন কাঁটার সাথে সাথে জমিতে ২৫০ টাকা পোন হিসাবে( ৮০ টি কারি একপোন) কাড়ি বিক্রি করেছি। পাইকারেরা জমি থেকেই ধানের কাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। দুই বিঘা জমির কাড়িই বিক্রি হবে আট হাজার টাকা। দুই বিঘা জমিতে আশা করছি ৩০ থেকে ৩৫ মন পর্যন্ত ধান হতে পারে। খরচ বাদে দুই বিঘায় আমার ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ হবে। 

পুটিমারী ভেড়ভেড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, আগে আউশের চাষাবাদ ছিলনা। জমি পতিত থাকত। বর্তমানে গত ৪ থেকে ৫ বছর থেকে আউশের চাষাবাদ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমরা কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা আউশের চাষ করছি। বর্তমানে একই জমিতে তিনটি ফসল হচ্ছে ফলে কৃষরা এগিয়ে যাচ্ছে। 

 উত্তর দুরাকটি পশ্চিমপাড়া গ্রামের কৃষক শামীম হোসেন বাবু বলেন, আগাম আউস ধান চাষ করার ফলে একদিকে জমি থাকছে উর্বর অপর দিকে আগাম আউশ ধান ও কাড়ি বিক্রির টাকা দিয়ে জমিতে আগাম আলু চাষ করবো। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, কয়েক বছরের তুলনায় এ উপজেলায় আউশ ধানের চাষাবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের মাঠ দিবস,উঠান বৈঠক,প্রশিক্ষনসহ বিভিন্ন তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি। ফলে আউশের ফলন ভাল হয়েছে। পাশাপাশি ধানের দাম থাকায় এবং বেশি দামে কাড়ি বিক্রির কারনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে আউশের আবাদ।


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2383202202375462893

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item