নীলফামারীতে স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধু হাসপাতালে


নির্ণয়,নীলফামারী॥
যৌতুকের টাকা না পেয়ে ফারজানা লিজা সোমা (২২) নামের এক গৃহবধু স্বামী ও ভাশুরের অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে ওই গৃহবধু গুরুতর আহত হয়ে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সোমা জেলা সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের কচুকাটা বন্দরপাড়ার আলমাস খানের স্ত্রী। আলমাস খান ওই এলাকার মৃত্যু মনসুর আলীর ছেলে। 

শুক্রবার(১৩ আগষ্ট/২০২১) দুপুরে ওই এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

জানা যায়, গত তিন বছর আগে আলমাস খানের সাথে জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পশ্চিম পাড়া গ্রামের ফরহাদ হোসেন সম্রাটের মেয়ে সোমার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের সময় নগদ দুই লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে প্রদান করেন তার বাবা। প্রথমদিকে তাদের দা¤পত্য জীবন ভালভাবে চলছিলো। এরই মধ্যে সোমার কোল জুড়ে আসে একটি কন্যা সন্তান। বর্তমানে শিশুটির বয়স ১ বছর ৬ মাস। প্রথম সন্তান জন্মের পড়েই শুরু হয় পারিবারিক কহল। আরো এক লাখ টাকার দাবি করেন স্ত্রী সোমার কাছে। শুরু হয় তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ ও স্বামী স্ত্রীর স¤পর্কের ঘাটতি। গরীব বাবা যৌতুকের টাকা শোধ করতে না পেরে তার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার।

আজ শনিবার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে নীলফামারীর জেনারেল হাসপাতালের মহিলা ওয়াডে চিকিৎসাধীন সোমা জানায়, গরীব বাবা অভাবের সংসারে আমার সুখের জন্য নগদ দুই লাখ টাকা যৌতুক দিয়েছিল। এরপরও অন্যায়ভাবে আরো এক লাখ টাকার জন্য আমার স্বামী প্রায় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে থাকে। গতকাল শুক্রবার ফের টাকার জন্য শারীরিক নির্যাতন করলে আমি সাফ জানিয়ে দেই আমার বাবা আর এক টাকাও দিতে পারবে না। এনিয়ে আমার স্বামী ও ভাশুর মিলে বেধড়ক মারধর করে। বাধ্য হয়ে বাবার বাড়ীতে ফোন দিলে আমার চাচা এসে পুলিশ দিয়ে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমি তাদের শাস্তিসহ ন্যায্য বিচার চাই।

সোমার চাচা শামীম হোসেন বাবু জানায়, মেয়ের সুখের জন্য অনেক কষ্ট করে নগদ দুই লাখ টাকা যৌতুক দিয়েছি। জামাই ফের এক লাখ টাকার দাবি করেন। ওই টাকা দিতে না পেরে মেয়ের ওপর চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। একইভাবে গতকালকে অমানবিক নির্যাতন চালায় তার ওপর। নির্যাতনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। 

নীলফামারী সদর থানার ওসি আব্দুর রউপ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার চিকিৎসার জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত তার পরিবারের পক্ষে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। সুনিদৃষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 

কটুকাটা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ জানান, গতকাল ঘটনাটি শুনেছি। এখনও দুই পরিবারের কেউ মিমাংসার জন্য বলে নি। তারা মিমাংসা করতে চাইলে দুই পরিবারকে নিয়ে সুষ্ঠ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। # 


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8457042663108998275

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item