কিশোরীগঞ্জে নিম্নমানের কাজ করায় ঠিকাদারের ক্ষমা প্রার্থনা
নির্ণয়,নীলফামারী/কিশোরীগঞ্জ প্রতিনিধি॥ নিম্নমানের খোয়া দিয়ে রাস্তার কাজ করার সময় এলাকাবাসীর প্রতিরোধে ঠিকাদার ক্ষমা চেয়ে সেই খোয়া তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে। রবিবার সকালে নীলফামারী কিশোরীগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উক্ত উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের অধিনে ২০২০-২১ অর্থ বছরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপুর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (আইআরআইডিপি-৩) অর্থায়নে ৭৭ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে রণচন্ডি ইউপি হতে বাবুর বাজার পর্যন্ত সড়ক পাকা করনে এক হাজার মিটারের নির্মান কাজ চলছে। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি জামিয়ার এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী পেলেও ওই ঠিকাদারের পরিবর্তে কাজটি করছে মোকছেদুল ইসলাম নামের আরেক ঠিকাদার। সরকারী বিধি মোতাবেক প্রকল্প এলাকায় বরাদ্দ সংবলিত সাইনবোর্ড লাগানোর নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি।
এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম, আজিমুদ্দিন মিয়া, আসেদুল মিয়া, কাকন মিয়া সহ শতাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায়, দুই তিন মাস আগে নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল সড়কটির নির্মান কাজের উদ্ধোধনে শুধু মাত্র বালু ফেলে কোন ধরনের ফিলিং(রোলিং) না করে চলে ঠিকাদার চলে যান। এরপর রবিবার (১৫ আগষ্ট/২০২১) ট্রাক্টরে করে ঠিকাদারের লোকজন পুরোনো পরিত্যাক্ত মাটি মিশ্রিত খোয়া এবং পুরোনো কার্পেটিং এর পাথর নিয়ে এসে সড়কের নির্মান কাজ শুরু করেন। আমরা এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ করলে ঠিকাদার তড়িঘড়ি করে কিছু নির্মান সামগ্রী উত্তোলন করে নিয়ে চলে যান।
ঠিকাদার মোকছেদুল ইসলাম, এলাকাবাসীর বাঁধার মুখে সড়কের নির্মান সামগ্রী ফিরিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এ জন্য আমাকে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি এলাকাবাসীর কাছে।পুরোনো কাপেটিংয়ের পাথরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খোয়া এবং বালুর মিশ্রনের সময় কিছু পুরোনো পাথর চলে এসেছিল।
সড়ক নির্মান কাজের তদারকি কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী জগবন্ধু রায় বলেন, শিডিউল অনুযায়ী যেভাবে সড়ক নির্মান করার কথা সেভাবে সড়কের কাজ হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুর রউফ বলেন এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #