মৃত্যু যেন করা নাড়ছে রাজুর দরজায়
https://www.obolokon24.com/2021/07/nilphamaari.html
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ মায়ের দেয়া কিডনিটিও অকার্যকর হতে চলেছে। দিন দিন বাঁচার আশা ক্ষিন্ন হয়ে পড়েছে। মৃত্যু যেন দুয়ারে এস কড়া নাড়ছে রাজু আহম্মেদের (৩৫)এর । একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে মা রেজিয়া বেওয়া ছেলেকে একটি কিডনি দিয়েছিলেন। কিডনিটি প্রতিস্থাপন করা হয় ভারতের চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে। কিন্তু সে কিডনিটিও অকার্যকর হতে চলেছে।
ঘঁটনাটি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকটি গ্রামের নান্নুর বাজারের বাসিন্দা মরহুম মোজাম্মেল হক এবং রাজিয়া দম্পত্তির একমাত্র ছেলে রাজু আহম্মেদের। সদ্য লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে প্রাইভেট একটি স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন রাজু। এরই মধ্যে তিনি দুরারোগ্যরোগে আক্লান্ত হয়ে পরেন। তাঁর দুটি কিডনিই ড্যামেজ হয়ে যায়। ছেলের জীবন বাঁচাতে মা রেজিনা বেওয়া তার একটি কিডনি ছেলেকে দেন। রাজুর অপারেশন করা হয় চেন্নাইয়ের ভেলর হাসপাতালে। এতে তাদের খরচ হয় প্রায় ১৪ লাখ টাকা। রেজিয়া বেওয়া একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে তার সহায় সম্বলটুকু বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসার ব্যায় ভার বহন করেন। কিন্তু মায়ের দেয়া সেই কিডনিটিও অকার্যকর হতে চলেছে তিনি বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেফ্রলজি বিভাগে ভর্তি রয়েছেন। ডাক্তার বলেছেন আবারো কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হলে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। এত টাকা জোগার করা তার মায়ের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তার মা রেজিয়া বেওয়া দেশের বৃত্তশালীদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। রাজুকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা রপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখা সঞ্চয়ী হিসাব ন¤র ৪২৯১০১০০১৮২৮৩। প্রয়োজনে নগদ নম্বর ০১৭২৩৩১৬০৮৪।