জনগনের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরার আওতায় কিশোরগঞ্জ শহর


মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতা:
আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন ,চুরি, ছিনতাই, জনগনের জানমালের সার্বিক নিরাপত্তা এবং সরকারী সম্পদ রক্ষার্থে  সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা শহর। প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষামুলকভাবে শহরের গুরুত্বপুর্ন স্থানগুলো এবং উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে  ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা(সিসি)স্থাপন শুরু হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাসস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকার এবং  কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকার বলেন, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের ত্রান কর্মসুচি- অধিশাখা ২ এর পরিপত্র অনুযায়ী গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষানাবেক্ষন (টিআর)কর্মসুচির আওতায় বরাদ্দকৃত অর্থ দ্বারা জনগুরুত্বপুর্ন বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্টানে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশনা দেয়া হয়। সে অনুযায়ী পুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে চত্বরে ক্যামেরা স্থাপনের জন্য এক লাখ ৩৪৬ টাকা, নিতাই ইউনিয়নে ৮০ হাজার, বাহাগিলি ইউনিয়নে একলাখ, চাঁদখানা ইউনিয়নে ৮০ হাজার, কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নে এক লাখ ৩০ হাজার,রনচন্ডি ইউনিয়নে ২ লাখ ১২ হাজার, মাগুড়া এক লাখ ২১ হাজার এবং গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে ২ লাখ ২০ হাজার ৪১৫ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।  
 কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল বলেন,  আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন এবং আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের জন্য শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন  স্থানে সরকারী উন্নয়ন তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে কিশোরগঞ্জ থানা এড়িয়ার তিন কিলোমিটারে মধ্যে ২০ টি  সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার কাজ চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন, শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্নস্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে এসব ক্যামেরার মাধ্যমে কোথায় কি ঘটছে তা অফিসে বসেই দেখা যাবে। এতে করে অপরাধ প্রবনতা কমে যাবে।
কিশোরগঞ্জ থানামোড়ের দোকানদার আহম্মেদ আলী জানান, কয়েকদিন আগে আমার বাসার সামনে থেকে আমার ব্যবহৃত ১৩৫ সিসির বাজাজ মটর সাইকেলটি কেবা কাহারা চুরি করে নিয়ে যায়। বর্তমানে সিসি ক্যামেরা থাকার কারনে চুরির প্রবনতা কমে যাবে।
উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন লেমন টেলিকমের মালিক লেমন মিয়া বলেন, সম্প্রতি রাতের বেলা আমার মোবাইলের দোকানে চুরি হয়। সিসি ক্যামেরা লাগানোর ফলে কেউ চুরি করলে ভিডিও ফুটেজ দেখে চোর শনাক্ত করা যাবে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম বলেন, দুযোর্গ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের পরিপত্র মোতাবেক জনগনের সার্বিক নিরাপত্তা এবং সরকারী সম্পদ রক্ষার্থে বিভিন্ন গুরুত্বপুর্নস্থানে সিসি ক্যামেরা লাগানো নির্দেশনা ছিল। আমরা সে নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি শহর এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য টিআর কর্মসুচি, এডিপি প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্প থেকে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে গোটা উপজেলা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7953043076995443595

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item