নীলফামারী জেলার কোভিট-১৯ পরিস্থিতি ও নাগরিক ভাবনা শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত


নির্ণয় ,নীলফামারী॥
নীলফামারীতে করোনা প্রার্দুভাব মোকাবেলায় সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালনে জোড় দেয়া হয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে উচ্চ ঝুঁিকতে থাকা নীলফামারীতে এসব নিশ্চিত না হলে আইনের কঠোর প্রয়োগে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।  বুধবার(১৬ জুন/২০২১) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ‘করোনা মোকাবেলায়-নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে (ওয়েবিনার) এই দাবী জানানো হয়।
মিডিয়া হাউসের আয়োজনে এবং একশন এইড ও ইউএসএস সহযোগীতা অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে সাংবাদিক তাহমিন হক ববির সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউএসএস’র নির্বাহী পরিচালক আলাউদ্দিন আলী।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিনা আকতার, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার, মশিউর রহমান ডিগ্রী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সারওয়ার মানিক, সাংবাদিক ভুবন রায় নিখিল প্রমুখ।
সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির এতে জানান, সংক্রমণের হার দশের বেশি হলে ঝুকিঁপুর্ণ জেলা হিসেবে চিহিৃত হয়। সেক্ষেত্রে নীলফামারীর চিত্র সংক্রমণের হার ১৩ভাগেরও বেশি। আমরা উচ্চ ঝুকিঁপুর্ণ জেলা হিসেবে রয়েছি। করোনার ভারতীয় ধরণ এসেছে দেশে। সে হিসেবে আমাদের সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে আমাদের। অন্যথায় কঠোর সিদ্ধান্তে পড়তে হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিনা আকতার বলেন, করোনার শুরুতে আমরা সচেতনতার পাশাপাশি আইন প্রয়োগ করেছিলাম করোনা নিয়ন্ত্রণে। সে সময়ে সুফল পেয়েছি। আবার করোনা বাড়ছে। আবারো আমাদের কঠোর হতে হবে। এজন্য এখন প্রশাসন থেকে ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন এমনটি শহরে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি আইনের ব্যবহারে মাঠে থাকবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
সেমিনারে শিক্ষা জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য ভাবার সময় এসেছে মন্তব্য করে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মজিবুল হাসান চৌধুরী শাহিন বলেন, শিক্ষার্থীরা সময় নানাভাবে নষ্ট করছে। নষ্টের দিকে যাচ্ছে। রোটেশন অনুযায়ী অথবা পাড়া মহল্লায় গ্রুপ করে দশ করে হলেও স্বাস্থ্য বিধি অনুসারে এবং মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, সামাজিক বা অর্থনৈতিক ভাবে আমরা কিছু সময় ক্ষতির সম্মুখীনে পড়লেও শিক্ষা ক্ষতি হলে জীবন বিপন্ন হয়ে যাবে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষকরা জেলায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। অনলাইন ভিত্তিক পাঠদান প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে কিন্তু এতে ব্যতয় ঘটছে। জরিপ করে শিক্ষার্থীদের নানা ভাবে সমস্যার কথা জানা গেছে, সেহিসেবে অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম সার্বজনীন হচ্ছে না। তবে কিছু জনের হলেও উপকার হচ্ছে এবং কাজে আসছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম বলেন, আমরা সম্মিলিত ভাবে কাজ করছি। করোনা প্রাদুর্ভাব শুধু বাংলাদেশে নয় সারাবিশ্বে এর প্রভাব পড়েছে কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় আমরা অন্যান্য দেশের চেয়ে ভালো রয়েছি। নীলফামারীতে করোনার শুরু থেকে আমরা যেভাবে মাঠে থেকে সবাই মিলে করোনা মোকাবেলা মোকাবেলা করে সফল হয়েছি এবারো একই প্রচেষ্টায় সফল হবো। কারণ করোনার কোন ঢেউ নেই। অব্যাহত রয়েছে একে সাথে নিয়ে আপাতত আমাদের চলতে হবে সে হিসেবে কার্যকরী পদক্ষেপ না আসা পর্যন্ত আমরা সরকারী সিদ্ধান্ত প্রতিপালন করবো।
সেমিনারে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, যুব সমাজের প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, নারী উদ্যোক্তারা বক্তব্য রাখেন

পুরোনো সংবাদ

হাইলাইটস 3775138520064728201

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item