ডোমারে সরকারী হাসপাতালে চাকুরী দেয়ার নাম করে প্রতারনা, গ্রেফতার ১


আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>

নীলফামারীর ডোমারে সৈয়দপুর সরকারী হাসপাতালে চাকুরী দেয়ার নাম করে প্রায় ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দেয়ার  অভিযোগ। খন্দকার মোমেন রানা (৪০) নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে ডোমার থানা পুলিশ। শনিবার (৩০ মে) রাতে উপজেলার গোমনাতী ইউনিয়নের উত্তর গোমনাতী ডাঙ্গাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

মামলা সুত্রে জানাযায়, ঢাকা জেলার ভাটারা উপজেলার মৃত খন্দকার ওয়ালী মিয়ার ছেলে খন্দকার মোমেন রানা নিজেকে কেএসএস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পরিচয় দেয়। তার সহযোগী শাহিন এর সাথে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের আব্দুল ওহাবের ছেলে শরিফুল ইসলামের পরিচয় হয়। তাদের আলাপচারিতা কালে প্রতারক মোমেন রানা শরিফুলকে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে সচিবের সাথে আমার খুব ভাল সর্ম্পক আছে সৈয়দপুর সরকারী হাসপাতালে অফিস সহায়ক পদে চাকুরী নিয়ে দিবো কেউ থাকলে দেন। শরিফুল ইসলাম তার কথা বিশ্বাস করে নিজ ভাতিজা শফিকুুলের জন্য কথা বলে। যার জন্য প্রতারক মোমেন রানা ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। চুক্তিমতে গত ০৭/০৫/২১ইং তারিখে ১০ হাজার ও ০৮/০৫/২১ইং তারিখে ১২ হাজারসহ পরে বিকাশের মাধ্যমে ৪২ হাজার টাকা প্রদান করে তাদের। প্রথম ধাপে ৬৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় ওই প্রতারক। কয়েকদিন পরে ২১/০৫/২১ইং তারিখের সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও মহা পরিচালক আলম আরা বেগম স্বাক্ষরিত একটি স্বারক নম্বর দিয়ে সৈয়দপুর ১০০ শর্য্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে  অফিস সহায়ক পদে যোগদানের জন্য নিয়োগ পত্র শরিফুলের হাতে ধরিয়ে দেয় এবং বাকী ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক মোমেন রানা ও তার সহযোগি শাহিন। শরিফুল তার ভাতিজাকে সাথে নিয়ে গত ২৫/০৫/২১ইং তারিখে সৈয়দপুর হাসপাতালে গিয়ে কর্তৃপক্ষকে নিয়োগপত্রটি দেখালে তা ভুয়া বলে প্রমানিত হয়। পরে তারা নীলফামারী সিভিল সার্জনকে জানালে তারাও একই কথা বলেন। ঘটনার দিন শনিবার ৩০মে প্রতারক মোমেন রানা উপজেলার গোমনাতী ইউনিয়নে আরেক চাকুরী প্রত্যাশীর বাড়িতে গেলে ভুক্তভুগি শরিফুল সেখানে প্রতারক মোমেন রানাকে আটক করে থানায় সংবাদ দিলে ডোমার থানার পুলিশ তাকে আটক করে। পরে শফিকুল বাদী হয়ে মোমেন রানা ও তার সহযোগি শাহিনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা নং- ৫৮, তারিখ- ৩০/০৫/২০২১ইং দায়ের করে। ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তারা একটি প্রতারনা চক্রের সদস্য। চাকুরী দেয়ার নাম করে অনেক মানুষকে সর্বশান্ত করেছে। বাদীর এজাহের ভিত্তিকে রোববার দুপুরে প্রতারক খন্দকার মোমেন রানাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে সহযোগি শাহিন পলাতক রয়েছে। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7788244222246259135

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item