কিশোরগঞ্জে পানিবন্দি দশ হাজার পরিবার


মোঃ শামীম হোসেন বাবু, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)-
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং কয়েকদিনের অবিরাম টানা বর্ষনের ফলে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে  নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাওয়া ছাড়াও পানিতে রাস্তা ডুবে থাকায় কলার ভেলা বানিয়ে চলাচল করছে মানুষ। 

এদিকে রবিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাসমুহ পরিদর্শন করেছেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চেীধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম, সহকারী কমিশনার ভ’মি মেহেদী হাসান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকার। 

সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের উত্তরপাড়া,দোলাপাড়া, আকালীবেচাপাড়া, গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের কবিরাজ পাড়া, বুল্লাইপাড়া, রণচন্ডি ইউনিয়নের কিসামত বীরচরন, বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি, মাছুয়াপাড়া, চাঁদখানা ইউনিয়নের ডাংগাপাড়া,বোর্ডপাড়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়া  অধিকাংশ মৎস্য চাষির মাছ পানিতে ভেসে গেছে।  রান্নাঘর, টয়লেট পানিতে ডুবে যাওয়ার কারনে একদিকে রান্নাবন্ধ অপর দিকে টয়লেটের বর্জ্য পানিতে ভেসে থাকার কারনে বিভিন্ন রোগ ব্যাধী হওয়ার আশংকা করছে এলাকাবাসী।

কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ডিংডিংপাড়া গ্রামের মাছচাষী মিজানুর রহমান জানান, পানি তরে পুকুরের পাড় ভেঙ্গে গিয়ে আমার পুকুরের তিনলক্ষাধীক টাকার মাছ ভেসে গেছে।  

বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের বাসিন্দা কায়রা মামুদ বলেন, গত তিন দিন থেকে আমার বাড়ির রান্নাঘর টয়লেট, টিউবয়েল পানিতে ডুবে আছে। আমরা অন্যের বাড়িতে রান্না করে খেতে হচ্ছে। রাতে ঘুমাতে পারছিনা।

মাগুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান শিহাব বলেন, আমার ইউনিয়নে প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছে। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকার বলেন, উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে মাগুড়া ৫ হাজার,নিতাই ৪শ, পুটিমারী ১৫০, বড়ভিটা ২শ, গাড়াগ্রাম ২৫০, চাঁদখানা ২৫০, রণচন্ডি ৩শ, বাহাগিলি ২শ, কিশোরগঞ্জ সদরের ৩শ পরিবার পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছে। আমরা পানিবন্দি পরিবার গুলোর তালিকা তৈরী করে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে পাঠাচ্ছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম জানান, শনিবার বিকাল সারে ৫ টার দিকে আকস্মিম র্ঘণিঝড়ে  ক্ষতিগ্রস্থ চাঁদখানা ও কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ২৬ টি পরিবারের মাঝে নীলফামারী জেলা প্রশাসক স্যারের উপস্থিতিতে ১০ কেজি করে চাল ও শুকনা খাবার বিতরন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, কয়েকদিনের ভারী বর্ষন ও সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারনে যারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে স্ব স্ব ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে তাদের তালিকা তৈরী করে উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। 


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8320808816793492596

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item