নীলফামারীর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২ শিক্ষক কর্মচারীর এমপিও বাতিল
https://www.obolokon24.com/2020/09/Nilphamari_22.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী॥ নীলফামারী জলঢাকা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের ১২ শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও বাতিল করা হয়েছে।
অভিযোগ মতে, প্রতিষ্ঠানটিতে দ্বিতীয় শিফটে ক্লাস পরিচালনার অনুমতি নিলেও বাস্তবে এ শিফটে কোন ক্লাস পরিচালনা না করে ১৪ বছর ৮মাস দ্বিতীয় শিফটের এমপিও হয়ে সরকারী অংশের টাকা উত্তোলন করেন। তাই, প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষসহ ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও বাতিল করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।
আজ মঙ্গলবার(২২ সেপ্টেম্বর/২০২০) বিষয়টি নিশ্চিত করে নীলফামারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, গতকাল সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এই ১২ শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও বাতিল করে আদেশে জারি করা হয়েছে।
সূত্র মতে, এমপিও বাতিল হওয়া শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছেন, অধ্যক্ষ আবেদ আলী, প্রভাষক সাজেদুর রহমান, জাহিদ ইকবাল, ধনপতি রায়, নূরে আলম সিদ্দিকী, মোসলেম উদ্দিন, আবদুল করিম, প্রদর্শক মশিউর রহমান, কর্মচারী ফিরোজা আক্তার, আজিজুল ইসলাম, জেসমিন আক্তার এবং ডালিমুজ্জামান।
সূত্র মতে, উক্ত ১২ জন শিক্ষক ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে দেড় বছর আগে তদন্ত করা হয়।
অপর দিকে জলঢাকা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ আবেদ আলী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক হাজার। এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অনেক সুনাম। সারা দেশের শীর্ষ ১০টি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকার মধ্যে এটি একটি। আমরা দেড় বছর আগে প্রতিষ্ঠানটিতে কারিগড়ি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর তদন্ত করে সরকারী অংশের বেতন ভাতা বন্ধ করে দিয়েছিল। এ জন্য উচ্চ আদালতে বেতন ভাতাদি বহাল রাখার দাবীতে মামলা করেছিলাম। মামলাটি চলামান থাকা অবস্থায় আমাদেরকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বলা হয়-মামলা প্রত্যাহার করা হলে এমপিও বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। আমরা চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মামলাটি প্রত্যাহার করি। এ অবস্থায় গতকঅর সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে ১২জনের এমপিও বাতিল করা হয়েছে। এতে আমরা হতবাক হয়ে পড়েছি। আমরা পুনরায় উচ্চ আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছি।